বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) সহ সব ধরনের সরকারি চাকরির আবেদন ফি ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো: মোখলেস উর রহমান বুধবার বিকেলে প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায় ঘোষণা করেছেন। তিনি জানান, এই নতুন নিয়ম অনুযায়ী, সরকারি এবং আধা-সরকারি চাকরির সব পরীক্ষার জন্য আবেদন ফি সর্বোচ্চ ২০০ টাকা হবে। তবে, প্রতিবন্ধীদের জন্য এই আবেদন ফি সম্পূর্ণ ফ্রি থাকবে।
এছাড়া, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বীমা এবং অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও আবেদন ফি ২০০ টাকার বেশি নেওয়া যাবে না। অর্থাৎ, দেশে যে কোনো চাকরির জন্য আবেদন করতে হলে আবেদনকারীদের সর্বোচ্চ ২০০ টাকা ফি দিতে হবে, এবং এর বেশি কোন প্রতিষ্ঠান ফি নিতে পারবে না।
আরো পড়ুন:
চুয়েটকে বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন উপাচার্য
শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সেবায় ইউনেস্কো ২৭৬ কোটি টাকার অনুদান দিয়েছে।
এই সিদ্ধান্তের পর, সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস উর রহমান জানান যে, এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে জারি করা হবে। তিনি আরও জানান যে, বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষায় নম্বরের পরিমাণও পরিবর্তন করা হয়েছে। আগে যেখানে মৌখিক পরীক্ষায় ২০০ নম্বর ছিল, এখন তা কমিয়ে ১০০ নম্বরে আনা হয়েছে।
এটি ছিল একটি দীর্ঘ সময় ধরে চলমান আলোচনা এবং দাবির ফলস্বরূপ। চাকরির আবেদন ফি কমানোর বিষয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনা চলছিল। এর আগে, ১৭ নভেম্বর স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁয়া তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে লিখেছিলেন, “চাকরিতে আবেদন ফি কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, এসেসমেন্ট শেষে জারি হবে সরকারি আদেশ।” এছাড়া, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহও ফেসবুকে একই তথ্য জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “আবেদন ফি সর্বোচ্চ ২০০ টাকা হতে পারে।”
এই সিদ্ধান্তটি চাকরি প্রার্থীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, কারণ দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ আবেদন ফি নিয়ে নানা ধরনের প্রতিবাদ ও আলোচনা চলছিল। এখন থেকে চাকরি প্রার্থীরা সহজেই এবং কম খরচে আবেদন করতে পারবেন, যা সাধারণ মানুষের জন্য একটি বড় উপকারিতা হিসেবে কাজ করবে।