শীতের আরামের জন্য মসলা চায়ের উপকারিতা
সকালে এক কাপ ধোঁয়া ওঠা গরম চা যেমন আমাদের চনমনে করে তোলে, তেমনি শীতের ঠান্ডা-কাশির সময়ও আরাম দেয় এক কাপ মসলা চা। কিছু ভেষজ উপাদান যোগ করলে চায়ের উপকারিতা আরও বাড়ে। জেনে নিন চায়ে কী কী উপাদান মেশানো যেতে পারে।
আদা: এক বা দুই ইঞ্চি আদা চায়ে মেশালে হজম ভালো হয় এবং গলা খুসখুস ভাব কমে। আদায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য শীতের নানা অসুস্থতা দূর করতে সহায়ক।
এলাচ: এক বা দুইটি এলাচ গুঁড়া করে চায়ে দিলে এটি হজমে সহায়তা করে এবং অ্যাসিডিটি কমায়। এছাড়া এতে থাকা এসেনশিয়াল অয়েল ও ভিটামিন চায়ে সুগন্ধ যোগ করে।
দারুচিনি: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পলিফেনল সমৃদ্ধ দারুচিনি রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হার্টের জন্য উপকারী। চায়ের স্বাদ বাড়াতেও দারুচিনি দারুণ কার্যকর।
তুলসী পাতা: কয়েকটি তুলসী পাতা চায়ে মিশিয়ে নিলে এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে।
হলুদ: ১/৪ চা চামচ হলুদ চায়ে মেশালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। হলুদে থাকা ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়ক।
মৌরি: চায়ের স্বাদ ও গন্ধ বাড়ানোর পাশাপাশি মৌরি হজম ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমায়।
লবঙ্গ: চায়ে দুই-একটি লবঙ্গ যোগ করলে ঠান্ডা, কাশি ও গলা খুসখুস ভাব উপশম হয়। এতে রয়েছে ভিটামিন সি, কে ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
গোলমরিচ: কয়েকটি গোলমরিচ গুঁড়া করে চায়ে দিলে এটি মেটাবোলিজম বাড়ায় এবং শরীরকে উষ্ণ রাখে।
পুদিনা পাতা: ৫-৬টি পুদিনা পাতা চায়ে দিলে হজমের সমস্যা দূর হয় এবং চায়ের স্বাদ আরও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।
গুড়: প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি স্বাদ পেতে ও হিমোগ্লোবিন বাড়াতে চায়ে গুড় যোগ করা যায়। এটি এনার্জি বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।
শীতের দিনে সুস্থ থাকতে এবং চায়ের স্বাদ বাড়াতে এসব উপাদান মিশিয়ে চায়ের অভ্যাস করতে পারেন।