গাজা কিনতে ও মালিকানা নিতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: ট্রাম্প
ফিলিস্তিনি প্রতিনিধি এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বেশিরভাগের কাছ থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিতর্কিত প্রস্তাব, যেখানে তিনি গাজার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। রবিবার এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প বলেন, তিনি গাজাকে ‘কিনতে এবং এর মালিকানা’ নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ট্রাম্প দাবি করেছেন, গাজাকে বড় একটি রিয়েল এস্টেট সাইট হিসেবে বিবেচনা করা উচিত এবং মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশগুলোর কাছ থেকে এর পুনর্নির্মাণের দায়িত্ব নেওয়া যেতে পারে। তিনি বলেন, “আমরা এটি পুনর্নির্মাণের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য রাজ্যগুলোকে এর কিছু অংশ নির্মাণের জন্য দিতে পারি। আমাদের পৃষ্ঠপোষকতায় অন্যরা এটি করতে পারে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “কিন্তু আমরা এটির মালিকানা ধরে রাখতে, এটি দখল এবং হামাস যাতে ফিরে না যায়, তা নিশ্চিত করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ফিরে যাওয়ার মতো কিছুই নেই। জায়গাটি একটি ধ্বংসস্তূপ।”
তবে ট্রাম্পের এই প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করেছে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস। হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য ইজ্জত আল-রিশেক এক বিবৃতিতে বলেছেন, “গাজা এমন কোনো সম্পত্তি নয়, যা কেনা-বেচা করা যায় এবং এটি আমাদের অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূমির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।”
প্রস্তাবটি বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, কারণ ট্রাম্পের কাছ থেকে কোন নির্দিষ্ট বাস্তবায়ন পরিকল্পনা পাওয়া যায়নি। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই প্রস্তাবকে ‘বিপ্লবী’ এবং ‘সৃজনশীল’ বলে প্রশংসা করেছেন, তবে এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন করতে আইনি এবং নৈতিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতামতও একে প্রত্যাখ্যান করেছে, বিশেষ করে মিশর এবং জর্ডান। ট্রাম্প শুরুতে গাজায় মার্কিন সেনা পাঠানোর কথা বললেও পরে তিনি জানান, বাস্তবায়নের জন্য কোনো আমেরিকান সেনা প্রয়োজন হবে না।