আপত্তিকর বার্তা পাঠানোর অভিযোগে যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বরখাস্ত
হোয়াটসঅ্যাপে আপত্তিকর এবং অপমানজনক বার্তা পাঠানোর অভিযোগে যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অ্যান্ড্রু গুয়েনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দেশটির প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে লেবার পার্টির সদস্যপদ থেকেও তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, গুয়েন হোয়াটসঅ্যাপে বেশ কয়েকজন ভোটার, সহকর্মী এমপি ও কাউন্সিলরদের উদ্দেশে অপমানজনক বার্তা পাঠিয়েছিলেন। ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ‘মেইল অন সানডে’ বিষয়টি প্রকাশ করলে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এরপরই প্রধানমন্ত্রী স্টারমার দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে তাকে মন্ত্রিসভা ও দল থেকে বরখাস্ত করেন।
সরকারের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য নির্ধারিত উচ্চ নৈতিক মান বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কেউ যদি সেই মানদণ্ডের ব্যত্যয় ঘটান, তবে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঘটনার পরপরই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে গুয়েন বলেন, “আমি স্বীকার করছি, আমার মন্তব্য অত্যন্ত বাজেভাবে ভুল বোঝানো হয়েছে। আমি এজন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।”
তিনি আরও যোগ করেন, “যদিও বরখাস্ত হওয়াটা দুঃখজনক, তবে আমি লেবার পার্টি এবং প্রধানমন্ত্রী স্টারমারের সিদ্ধান্ত বুঝতে পারছি এবং যে কোনো উপায়ে তাদের সমর্থন অব্যাহত রাখব।”
লেবার পার্টির এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ৫০ বছর বয়সী গুয়েনকে “প্রশাসনিকভাবে বরখাস্ত” করা হয়েছে। তিনি বলেন, “পার্টির নিয়ম ও নীতিমালার আলোকে হোয়াটসঅ্যাপে দেওয়া মন্তব্য পর্যালোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “যদি কোনো সদস্য লেবার পার্টির নৈতিক মূল্যবোধের পরিপন্থী আচরণ করেন, তাহলে দ্রুত ও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অ্যান্ড্রু গুয়েন ২০০৫ সাল থেকে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তবে সাম্প্রতিক ঘটনায় তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।