রবিবার, ২রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫| রাত ৯:৫১

জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব: ট্রাম্পের আদেশের বিরুদ্ধে ২২ অঙ্গরাজ্যে মামলা

প্রতিবেদক
staffreporter
জানুয়ারি ২২, ২০২৫ ৮:২৩ অপরাহ্ণ
জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব: ট্রাম্পের আদেশের বিরুদ্ধে ২২ অঙ্গরাজ্যে মামলা

জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব: ট্রাম্পের আদেশের বিরুদ্ধে ২২ অঙ্গরাজ্যে মামলা

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। তবে এই আদেশের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই দেশটির ২২টি অঙ্গরাজ্যে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই অঙ্গরাজ্যগুলোর বেশিরভাগই ডেমোক্রেটিক পার্টির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত।

ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল রব বন্টা এবং ম্যাসাচুসেটসসহ ২০টি অঙ্গরাজ্যের শীর্ষ আইন কর্মকর্তারা ম্যাসাচুসেটসের ফেডারেল আদালতে এ আদেশের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। বন্টা এক বিবৃতিতে বলেন, ট্রাম্পের এই আদেশ “অশোভন, অসাংবিধানিক এবং প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার অপব্যবহার।” তিনি আদালতের কাছে দ্রুত এই আদেশ কার্যকর না করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন।

ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে যদি অবৈধ অভিবাসীদের সন্তান জন্ম নেয়, তাহলে তারা মার্কিন নাগরিক হিসেবে বিবেচিত হবে না। এমনকি, বৈধ অভিবাসী বা শিক্ষার্থী ভিসা, ওয়ার্ক ভিসা বা পর্যটন ভিসায় অবস্থানরত দম্পতির সন্তানরাও আর মার্কিন নাগরিকত্বের অধিকার পাবে না। এই আদেশ ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ১৪ তম অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, “যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ডে জন্ম নেওয়া প্রতিটি শিশু মার্কিন নাগরিক হিসেবে গণ্য হবে।” এই অধ্যাদেশ মূলত ১৫০ বছর আগে দাসপ্রথা থেকে মুক্ত আফ্রিকান-আমেরিকানদের সন্তানদের স্বীকৃতি দিতে সংযোজন করা হয়েছিল। ট্রাম্পের এই আদেশ সরাসরি সংবিধানের ওই অধ্যাদেশের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

নির্বাচনী প্রচারণার সময় থেকেই ট্রাম্প এই নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন এবং ক্ষমতায় এসে তা বাস্তবায়নের কথা বলেছিলেন। তবে এই সিদ্ধান্তের ফলে অভিবাসী পরিবারগুলোতে ভয় ও অনিশ্চয়তা ছড়িয়ে পড়েছে। এর পাশাপাশি, আইনজ্ঞদের মতে, সংবিধানের ১৪ তম অধ্যাদেশের ওপর আঘাত হানার এই উদ্যোগ যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস ও মানবাধিকারের জন্য একটি বড় সংকট হয়ে উঠতে পারে।

ট্রাম্পের এই আদেশের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই দীর্ঘ সময় ধরে চলবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল এই আদেশকে অবৈধ ঘোষণা করতে এবং যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া শিশুদের অধিকার নিশ্চিত করতে আদালতের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন।

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - সর্বশেষ