সোমবার, ১০ই মার্চ, ২০২৫| রাত ৮:১৫

ট্রাম্পের চেয়ারে ইলন মাস্ক! টাইম ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে নতুন বিতর্ক

প্রতিবেদক
staffreporter
ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৫ ৫:২৮ অপরাহ্ণ
ট্রাম্পের চেয়ারে ইলন মাস্ক! টাইম ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে নতুন বিতর্ক

ট্রাম্পের চেয়ারে ইলন মাস্ক! টাইম ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে নতুন বিতর্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ারে কফি হাতে বসে আছেন ইলন মাস্ক—এমন একটি চিত্র টাইম ম্যাগাজিনের সর্বশেষ প্রচ্ছদে দেখা গেছে। এই প্রচ্ছদ প্রকাশের পর থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা। বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প প্রশাসনে মাস্কের অপ্রতিরোধ্য প্রভাব এবং ক্ষমতার মাত্রা বোঝাতেই এই প্রচ্ছদ করা হয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরেই রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ট্রাম্পবিরোধীরা বলে আসছিলেন, ক্ষমতায় থাকলেও ট্রাম্পের নীতিনির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখছেন ইলন মাস্ক। তার সঙ্গে প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের জেরেই একাধিক নীতিগত সিদ্ধান্ত মাস্কের পক্ষে গিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। টাইম ম্যাগাজিনের এই প্রচ্ছদ সেই ধারণাকে আরও উসকে দিয়েছে।

প্রতিক্রিয়া ও বিতর্ক

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রচ্ছদটি ইঙ্গিত দেয় যে ট্রাম্প প্রশাসনের মূল ক্ষমতা আড়াল থেকে নিয়ন্ত্রণ করছেন ইলন মাস্ক। একাধিক নীতিনির্ধারণী বিষয়ে মাস্কের পরামর্শ বা সুপারিশ গুরুত্ব পাচ্ছে, যা ট্রাম্পের নিজস্ব সিদ্ধান্তের ওপর ছাপ ফেলছে। কেউ কেউ এটিকে ‘উসকানিমূলক’ প্রচারণা বলেও উল্লেখ করছেন।

বিশ্লেষকদের ধারণা, টাইম ম্যাগাজিনের এই প্রচ্ছদ ট্রাম্পকে ক্ষুব্ধ করতে পারে। কারণ তিনি দীর্ঘদিন ধরেই টাইমের কভার পেজকে বিশেষ সম্মানজনক হিসেবে দেখেন এবং তার নিজের উপস্থিতি সেখানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে যখন এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়, তখন তিনি জানান যে তিনি এখনো প্রচ্ছদটি দেখেননি। তবে তিনি পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দেন, “টাইম ম্যাগাজিন কি এখনো ব্যবসায় টিকে আছে? আমি জানি না।” পাশাপাশি তিনি বলেন, “ইলন অনেক ভালো কাজ করছে।”

টাইম ম্যাগাজিন অবশ্য এই প্রচ্ছদ নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি। তবে এটিই প্রথম নয়, যখন তারা ইলন মাস্ককে এভাবে প্রচ্ছদে জায়গা দিয়েছে। এর আগে গত নভেম্বরে তারা মাস্ককে ‘কিংমেকার’ হিসেবে আখ্যায়িত করে একটি প্রচ্ছদ প্রকাশ করেছিল, যা নিয়েও ব্যাপক আলোচনা হয়েছিল।

টাইম ম্যাগাজিনের এই সাম্প্রতিক প্রচ্ছদ যে রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক মহলে নতুন উত্তাপ ছড়িয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ইলন মাস্ক সত্যিই ট্রাম্প প্রশাসনের অদৃশ্য চালক কি না, তা নিয়ে বিতর্ক আরও দীর্ঘায়িত হতে পারে।

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - সর্বশেষ