রবিবার, ২রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫| রাত ৯:৫৩

সব ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে নতুন কর্মসূচি।

প্রতিবেদক
staffreporter
নভেম্বর ২৬, ২০২৪ ৮:৩৯ পূর্বাহ্ণ

সব ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে নতুন কর্মসূচি।

ফ্যাসিবাদবিরোধী সব ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে আগামী এক সপ্তাহ ‘জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ’ পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন ঠেকাতে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে চলমান অস্থিরতা নিরসনের লক্ষ্যে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের প্রশ্নে এখন থেকে ফ্যাসিবাদবিরোধী প্রতিটি রাজনৈতিক দল এবং ছাত্র সংগঠন জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করবে। কোনো ফরমেটেই আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের সুযোগ দেয়া হবে না।” জানিয়েছে হাসনাত আবদুল্লাহ।

সোমবার ২৫ নভেম্বর রাতে রাজধানীর বাংলামোটরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে জরুরি বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দেন আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, “আমরা গত কয়েক দিন যাবত দেখছি আওয়ামী ফ্যাসিবাদীদের পুনর্বাসনে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। একই সময়ে বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক আন্দোলনও শুরু হয়েছে। ছাত্র পরিচয়ে লুঙ্গি পরা ব্যক্তিরাও এসে শিক্ষার্থীদের পেটাচ্ছে, যাদের যে কেউ দেখলেই বুঝতে পারবে তারা কারা। আমরা দেখেছি রিকশাচালকদের আন্দোলনেও ছাত্রলীগ উসকানি দিয়ে সহিংস পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করেছে। তাই আজকে আমরা সব ছাত্র সংগঠন একমত হয়েছি যে, আগামী এক সপ্তাহ আমরা ‘জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ’ পালন করব।”

আওয়ামী লীগের কর্মকর্তাদের বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার আওয়ামী প্রশাসনিক কাঠামোর মধ্যেই এসেছে। তাই সরকারকে আওয়ামী লীগের কর্মকর্তাদের বাদ দিতে হবে।

হাসনাত বলেন, গত ১৬ বছরের দুঃশাসনে আওয়ামী লীগ টাকা পাচার করে দেশের ব্যাংকগুলোকে খালি করেছে। আপনারা জানেন একজন এমপিরও বিদেশে ৩ শতাধিক বাড়ি রয়েছে। আমরা আজকের বৈঠকে সবাই একমত হয়েছি যে, দ্রুততম সময়ে সেসব এমপি-মন্ত্রীর সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে হবে। আমরা দেখছি বিদেশে বসেও তারা দেশবিরোধী নানা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। তাদের সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা না হলে, এভাবে তারা ষড়যন্ত্র করতেই থাকবে এবং একের পর এক দেশে নানা বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে। তাই আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই, দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার ব্যবস্থা নিতে হবে।

স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের কাছে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের একতা এই স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। তা নষ্ট করতে অনেকেই ষড়যন্ত্র করছে। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশ নষ্ট হয়, রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট হয়, আমাদের আন্দোলনের উদ্দেশ্য নষ্ট হয় এবং আওয়ামী লীগ ফিরে আসতে পারে এমন কোনো কাজ করা যাবে না।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস, ঢাবি ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি এসএম ফরহাদ, স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্রসংসদের সভাপতি জামালুদ্দিন মোহাম্মদ খালিদ, ইসলামী শাসনতন্ত্রের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল মুনতাসির আহমেদ, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, সেক্রেটারি নাজমুল হাসান, ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ড এবং সেক্রেটারি সৈকত আরিফ সহ আরো অনেকে৷

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ এবং মুখপাত্র উমামা ফাতেমা।

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - সর্বশেষ