দেরিতে হলেও সরকারের বোধোদয়ে এবি পার্টির স্বস্তি প্রকাশ
অনেক দেরিতে হলেও গণঅভ্যুত্থানের সব পক্ষের সম্মতিতে একটি গ্রহণযোগ্য ঘোষণাপত্র তৈরিতে সরকারের উদ্যোগ নেওয়াকে স্বাগত জানিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিক্রিয়া জানান এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু।
মঞ্জু বলেন, “এবি পার্টিসহ আমরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দল জুলাই গণঅভ্যুত্থানের একটি প্রোকলোমেশন (ঘোষণাপত্র) তৈরির দাবি জানিয়েছিলাম অনেক আগেই। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, নাগরিক কমিটি বা অন্তর্বর্তী সরকার এ ব্যাপারে সম্মতি জানালেও কোনো পক্ষই কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। তবে সম্প্রতি তড়িঘড়ি করে নাগরিক কমিটি ও ছাত্ররা ২০২৪ সালের মধ্যেই একটি ঘোষণাপত্র দেওয়ার উদ্যোগ নেয়। এটি বিভ্রান্তি ও বিভেদ তৈরি করতে পারে বিবেচনায় সরকার নিজেই একটি সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।”
তিনি সরকারের কার্যক্রমের সমালোচনা করে বলেন, “আমরা বারবার বলেছি সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে পদক্ষেপ নিতে। তবে সরকারের কার্যক্রমে কোনো সুপরিকল্পনার ছাপ নেই। তারা সবকিছুতে তাৎক্ষণিক চাপের মুখে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, যা তাদের ইমেজ ক্ষুণ্ন করছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, যদি আপনারা জাতীয় ঐক্যের উদ্যোগ নিতে না পারেন, তবে আমাদের দায়িত্ব দিন, কিন্তু সংকট তৈরি করবেন না।”
মঞ্জু আরও বলেন, “ছাত্রদের দাবির প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। আমরা মনে করি, ১৫ জানুয়ারির মধ্যে একটি সমন্বিত ঘোষণাপত্র প্রণয়ন করা সরকারের দায়িত্ব।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, সিনিয়র সহকারী সদস্যসচিব এবিএম খালিদ হাসান, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইন, সহকারী সদস্যসচিব ব্যারিস্টার সানী আব্দুল হক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী নাসির, উত্তরের সদস্যসচিব সেলিম খান এবং দক্ষিণের যুগ্ম সদস্যসচিব সফিউল বাসারসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।