আইএলও’র পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পেল ফিলিস্তিন
জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন’ (আইএলও) ফিলিস্তিনকে ‘জাতীয় স্বাধীনতা আন্দোলন’ থেকে উন্নীত করে ‘পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ফিলিস্তিন আইএলও’র প্রাথমিক সদস্যপদ পাওয়ার পর দীর্ঘ পাঁচ দশকের বেশি সময় পেরিয়ে এমন স্বীকৃতি অর্জন করল। এই সিদ্ধান্ত সোমবার (২ জুন) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আইএলও সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত ১১৩তম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে গৃহীত হয়। সংস্থাটি জানিয়েছে, আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে আগামী বৃহস্পতিবার।
এর আগে চলতি বছরের ১০ মে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ফিলিস্তিনকে প্রথমবারের মতো পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এরপর ইউনেস্কো এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) একই মাসে একই ধরনের স্বীকৃতি দেয়। এবার তৃতীয় আন্তর্জাতিক সংস্থা হিসেবে ফিলিস্তিনকে পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের মর্যাদা দিল আইএলও।
পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিন আইএলও’র বৈঠক ও আলোচনায় অংশ নিতে পারবে এবং বিভিন্ন বিষয়ে মতামত দিতে পারবে, যদিও ভোটাধিকার পাবে না। এটি পূর্ণ সদস্যপদের আগের ধাপ হিসেবে বিবেচিত হয়।
আইএলও’র সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে জাতিসংঘে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম ক্রাইশি এক বিবৃতিতে বলেন, “ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেট সম্প্রতি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। আইএলও এই পদক্ষেপের মাধ্যমে সে প্রত্যাখ্যানের বিরুদ্ধে একটি দ্ব্যর্থহীন জবাব দিয়েছে।”
রবিবার সম্মেলনে যখন ফিলিস্তিনকে পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব তোলা হয়, তখন একমাত্র হাঙ্গেরি ছাড়া সব সদস্যরাষ্ট্র প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। ইব্রাহিম ক্রাইশি হাঙ্গেরির এ অবস্থান নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, “১৯৮৮ সালে যখন অনেক দেশ ফিলিস্তিনকে এখনো স্বীকৃতি দেয়নি, তখন হাঙ্গেরি দিয়েছিল। তাই তাদের বর্তমান অবস্থান আমাদের অবাক করেছে।”
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি