দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা
দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম ইয়ং-হিউন জেল-হাজতে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন, যা দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) এই ঘটনা ঘটে। একই দিনে প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের সামরিক আইন ঘোষণার বিষয়ে তদন্তের অংশ হিসেবে পুলিশ প্রেসিডেন্ট অফিসে অভিযান চালায়।
আল-জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিদ্রোহের অভিযোগে সিউল সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের আদেশে কিম ইয়ং-হিউনকে গ্রেফতার করা হয়। অপরাধের গুরুতরতা এবং প্রমাণ ধ্বংসের সম্ভাবনা থাকায় তাকে আটক করা হয়েছে বলে আদালত জানিয়েছে। জেল-হাজতে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেও কীভাবে বা কখন তিনি এই চেষ্টা করেছেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।
একই অভিযোগে কোরিয়ান ন্যাশনাল পুলিশ এজেন্সির কমিশনার জেনারেল চো জি-হো এবং সিউল মেট্রোপলিটন পুলিশ এজেন্সির প্রধান কিম বং-সিককেও আটক করা হয়েছে। যদিও তাদের গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়াই ৪৮ ঘণ্টার জন্য আটক রাখা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের সামরিক আইন ঘোষণার পর থেকেই দক্ষিণ কোরিয়ায় রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়ছে। বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ইউনকে অভিশংসনের জন্য দ্বিতীয়বার উদ্যোগ নিয়েছে। এর আগে ৩০০-সদস্যের জাতীয় সংসদে প্রথম অভিশংসন প্রস্তাব ব্যর্থ হয়, কারণ ইউনের পিপলস পাওয়ার পার্টির সদস্যরা ভোট বর্জন করেছিল।
তবে, দ্বিতীয় অভিশংসন প্রস্তাব সফল হলে প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু সাময়িকভাবে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেবেন। পরে সাংবিধানিক আদালত সিদ্ধান্ত নেবে প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলকে অপসারণ করা হবে কিনা। এই পরিস্থিতি দক্ষিণ কোরিয়ার সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সংকট হিসেবে দেখা দিচ্ছে।