নগদ থেকে দেড়শ কোটি টাকা তোলার অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন প্রধান উপদেষ্টা ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব
মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান নগদ থেকে দুই মাসে দেড়শ কোটি টাকা তোলা হয়েছে—এমন দাবি করে সম্প্রতি একটি গণমাধ্যম প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়, ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন, ডাটাবেজ থেকে তথ্য মুছে ফেলা, গণছাঁটাই, ইভেন্ট খরচ দেখিয়ে বিল তোলা এবং মেইনটেন্যান্স কোম্পানির বকেয়ার অজুহাতে বিপুল অর্থ তোলা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। শুক্রবার বিকেল পৌনে ৬টার দিকে নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ বিষয়ে তার অবস্থান ব্যাখ্যা করেন।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব লেখেন, টাকা উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়ার পর তিনি নগদের কাছে দুই মাসের পরিচালন ব্যয় ও অন্যান্য বিল সংক্রান্ত হিসাব জানতে চান। তার দাবি অনুযায়ী, নগদের পক্ষ থেকে জানানো হয়—সেই সময়কালে অ্যাকাউন্ট থেকে সর্বমোট প্রায় ৪৩ কোটি টাকা উত্তোলন করা হয়েছে, যা পরিচালন ব্যয়, বেতন-ভাতা, অফিস ভাড়া ও ভেন্ডর বিলসহ অন্যান্য খাতে ব্যবহৃত হয়েছে। তাই গণমাধ্যমে যে দেড়শ কোটি টাকার কথা বলা হয়েছে, সেটির উৎস তিনি খুঁজে পাচ্ছেন না বলে জানান।
পোস্টে আরও বলা হয়, “মানবজমিনকে অনুরোধ করবো তারা যেন তাদের অভিযোগের পক্ষে প্রমাণ সরবরাহ করে এবং ঠিক কোন খাত থেকে এই অর্থ উত্তোলন হয়েছে তা বিস্তারিত উল্লেখ করে।”
তিনি জানান, কোনো একক ব্যক্তি বা সংস্থার ওপর নির্ভর না করে নতুন সিইওকে নিয়ে একটি ত্রিপাক্ষিক ফরেনসিক নিরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, “১১ থেকে ২৭ মে ছাড়া নগদের বাকি সময়ের পুরো পরিচালনা বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনেই ছিল।”