শনিবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৫| সকাল ৬:০৬

যুক্তরাষ্ট্রে পণ্যের রফতানি বাড়াতে আরও ১০০ পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রস্তাব বাংলাদেশের

প্রতিবেদক
staffreporter
এপ্রিল ৮, ২০২৫ ২:৪৯ অপরাহ্ণ
যুক্তরাষ্ট্রে পণ্যের রফতানি বাড়াতে আরও ১০০ পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রস্তাব বাংলাদেশের

যুক্তরাষ্ট্রে পণ্যের রফতানি বাড়াতে আরও ১০০ পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রস্তাব বাংলাদেশের

বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে পণ্যের রফতানি বাড়াতে এবং বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে নতুন একটি প্রস্তাব দিয়েছে। গত সোমবার (৭ এপ্রিল) বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি দফতর (ইউএসটিআর)-কে চিঠি পাঠিয়েছেন, যেখানে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আরও ১০০টি পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিদ্যমান বাণিজ্য বৈষম্য দূর করতে একতরফা ১৯০টি পণ্যে শুল্কহার শূন্য রেখেছে এবং এখন আরও ১০০টি পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এক সময় বাংলাদেশি পণ্যের ওপর অগ্রাধিকারমূলক সুবিধা প্রত্যাহার করার পর, বাংলাদেশের সব রফতানি পণ্যের ওপর গড়ে ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে, যখন বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর গড়ে মাত্র ৬.১০ শতাংশ শুল্ক নেয়। এ ছাড়া কাঁচা তুলা ও লোহার স্ক্র্যাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের শুল্ক হার যথাক্রমে শূন্য ও এক শতাংশ রয়েছে।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান তুলা সরবরাহকারী দেশ, এবং সেই তুলা দিয়ে দেশের প্রধান রফতানি খাত তৈরি পোশাক শিল্প পরিচালিত হয়। তবে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের কারণে বাংলাদেশের রফতানি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেন, যা গত ৩ এপ্রিল থেকে কার্যকর হয়েছে। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে একটি পৃথক চিঠি পাঠিয়েছেন, যাতে শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।

বাণিজ্য উপদেষ্টা তার চিঠিতে উল্লেখ করেছেন যে, ২০১৩ সালে স্বাক্ষরিত বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র ‘টিকফা’ চুক্তি অনুযায়ী উভয় দেশ বাণিজ্য ও বিনিয়োগে প্রতিবন্ধকতা দূর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ একাধিক সংস্কারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে শুল্ক হার কমানো, অশুল্ক বাধা দূর করা এবং কাস্টমস প্রক্রিয়া সহজীকরণ।

তিনি আরও জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সরকার মার্কিন বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে, যেমন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি এলএনজি চুক্তি এবং মার্কিন গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাংলাদেশে কারখানা স্থাপনের আহ্বান।

এ ধরনের গঠনমূলক উদ্যোগের মাধ্যমে, বাণিজ্য উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেছেন যে, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আরও শক্তিশালী হবে এবং উভয় দেশের জনগণের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - বানিজ্য ও অর্থনীতি

আপনার জন্য নির্বাচিত