গ্রীষ্মের সেরা উপকারী ফল: কাঁঠাল কেন খাবেন
কাঁঠাল এমন একটি মৌসুমি ফল, যা কেউ খুব পছন্দ করে খায়, আবার কেউ তা এড়িয়ে চলে। কিন্তু এই বড় আকৃতির, সুগন্ধি ও রসালো ফলটির স্বাস্থ্য উপকারিতা অস্বীকার করার উপায় নেই। এতে রয়েছে ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কাঁঠাল চর্বিমুক্ত ও কোলেস্টেরলমুক্ত হওয়ায় এটি হজমে সহায়ক, শরীরকে চাঙা রাখে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। নিচে কাঁঠালের কিছু উল্লেখযোগ্য উপকারিতার কথা তুলে ধরা হলো।
কাঁঠাল শরীরকে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে, কারণ এতে পানির পরিমাণ বেশি থাকে। গরমের দিনে ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে হারিয়ে যাওয়া তরল পুনরায় পূরণ করতে এটি কার্যকর। ফলে ডিহাইড্রেশনজনিত ক্লান্তি বা মাথাব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। পাশাপাশি, এতে থাকা ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে এবং মৌসুমী সংক্রমণ বা গ্রীষ্মকালীন জ্বরের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করে।
হজমশক্তি বাড়ানোর দিক থেকেও কাঁঠাল অত্যন্ত উপকারী। এতে থাকা প্রাকৃতিক আঁশ স্বাভাবিক মলত্যাগে সহায়তা করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। সেই সঙ্গে এটি অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ঘটায়, যা গরমের সময় হজমশক্তি দুর্বল হলে বিশেষভাবে কাজে দেয়।
এছাড়া কাঁঠাল শরীরে দ্রুত শক্তি জোগাতে পারে, কারণ এতে রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি—ফ্রুক্টোজ ও সুক্রোজ। এগুলো প্রক্রিয়াজাত চিনির মতো নয় এবং কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই তাৎক্ষণিক শক্তি সরবরাহ করে। ওয়ার্কআউটের আগে কিংবা গ্রীষ্মের ক্লান্ত দুপুরে সতেজ থাকার জন্য কাঁঠাল একটি চমৎকার নাস্তা হতে পারে।
সবশেষে, হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে কাঁঠালের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। এটি পটাশিয়ামের ভালো উৎস, যা রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তনালীকে রক্ষা করে এবং দীর্ঘমেয়াদে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
সুতরাং, যদি আপনার পছন্দের তালিকায় কাঁঠাল না-ও থাকে, অন্তত এর পুষ্টিগুণের কথা মাথায় রেখে গ্রীষ্মে নিয়মিত খাওয়ার কথা ভাবা উচিত।