শুক্রবার, ৬ই জুন, ২০২৫| রাত ১১:৫৫

বাস্তু বদলে ভাগ্য ফিরল শাহরুখের, বলিউডে রাজকীয় প্রত্যাবর্তন ‘গুরুর’ কল্যাণে

প্রতিবেদক
staffreporter
মে ১৮, ২০২৫ ১১:০৬ পূর্বাহ্ণ
বাস্তু বদলে ভাগ্য ফিরল শাহরুখের, বলিউডে রাজকীয় প্রত্যাবর্তন ‘গুরুর’ কল্যাণে

বাস্তু বদলে ভাগ্য ফিরল শাহরুখের, বলিউডে রাজকীয় প্রত্যাবর্তন ‘গুরুর’ কল্যাণে

২০১৭ সালের ‘জব হ্যারি মেট সজল’ এবং ২০১৮ সালের ‘জিরো’—এই পরপর দুটি সিনেমার ব্যর্থতা যেন শাহরুখ খানের ক্যারিয়ারে বড় এক ছন্দপতন হয়ে আসে। বক্স অফিসে ভরাডুবির পর অভিনয় থেকে কিছুটা বিরতিতে চলে যান বলিউড বাদশাহ। তারপর করোনাকালে তিনি উপলব্ধি করেন, ফেরার সময় এসে গেছে। কিন্তু অতীতের ব্যর্থতা তখনও তার মনকে আচ্ছন্ন করে রেখেছিল। এই দুশ্চিন্তা থেকেই তিনি আশ্রয় নেন এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও ‘গুরু’র—যিনি সিনেমা জগতের পাশাপাশি বাস্তুশাস্ত্র সম্পর্কেও সমান পারদর্শী।

এরপর থেকেই শুরু হয় ভাগ্য বদলের পালা। পাঁচ বছর পর, ২০২৩ সালে ‘পাঠান’ এবং ‘জওয়ান’ মুক্তি পায় এবং দুটি ছবিই বিশাল সাফল্য পায়। এই দুই ব্লকবাস্টার মিলে আয় করে ২০০০ কোটিরও বেশি টাকা। শাহরুখের এই অভাবনীয় প্রত্যাবর্তনের পেছনে বড় ভূমিকা ছিল তার সেই ‘গুরু’র পরামর্শে ঘরবাড়ির বাস্তু পরিবর্তনের।

সেই ‘গুরু’ হলেন বলিউড প্রযোজক আনন্দ পণ্ডিত। এক সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, শাহরুখ যখন নিজেকে পরিবর্তনের সন্ধিক্ষণে দেখছিলেন, তখন তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আনন্দ বলেন, “আমি ওকে শক্তি-ভিত্তিক এক বিশেষ বাস্তুশাস্ত্রের বিষয়ে গাইড করি। আমরা ওর বাড়িতে কিছু পরিবর্তন আনি, এবং সেই পরিবর্তন কাজেও আসে। শাহরুখ এতটাই বিনয়ী যে সে আমাকে প্রকাশ্যে কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছে।”

এই বক্তব্যের সঙ্গেই মিলে যায় ২০২৩ সালে আনন্দ পণ্ডিতের ৬০তম জন্মদিনে শাহরুখের এক রসিক মন্তব্য। ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওতে তিনি বলেন, “ও আমার স্পিরিচুয়াল গুরু। যখন কোনো ছবি ফ্লপ করে, তখন ওকে ফোন করি ঘরের বাস্তু ঠিক করাতে। ও একটা আয়না সরিয়ে দেয়, আর পরের ছবিটা হিট হয়ে যায়!”

২০২৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ডাঙ্কি’ যদিও মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছে, তবুও এটি বিশ্বজুড়ে ৪৭০ কোটি টাকার ব্যবসা করে। পরপর তিনটি সফল ছবি উপহার দিয়ে শাহরুখ ফের নিজের ‘রাজত্ব’ প্রতিষ্ঠা করেন বলিউডে। এখন সব চোখ তার পরবর্তী প্রজেক্ট ‘কিং’-এর দিকে, যেখানে প্রথমবার বড় পর্দায় শাহরুখের সঙ্গে দেখা যাবে তার কন্যা সুহানা খানকে। অ্যাকশন-থ্রিলার ঘরানার এই ছবি নিয়ে প্রত্যাশা তুঙ্গে।

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - বানিজ্য ও অর্থনীতি

আপনার জন্য নির্বাচিত
পাসপোর্টের মেয়াদ থাকলে ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন না করার অনুরোধ কুয়েত দূতাবাসের

পাসপোর্টের মেয়াদ থাকলে ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন না করার অনুরোধ কুয়েত দূতাবাসের

ছেচল্লিশের ইতিহাস তুলে দাঙ্গায় উস্কানি বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের

ছেচল্লিশের ইতিহাস তুলে দাঙ্গায় উস্কানি বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের

ফ্যাসিস্টরা সাংবাদিক-সংবাদপত্রের ওপর জুলুম চালাত: জামায়াত আমির

ফ্যাসিস্টরা সাংবাদিক-সংবাদপত্রের ওপর জুলুম চালাত: জামায়াত আমির

বরিশালে ছাত্রদল সভাপতির রগ কেটে আটকে রাখে বিএনপি নেতারা

বরিশালে ছাত্রদল সভাপতির রগ কেটে আটকে রাখে বিএনপি নেতারা

কানাডা কখনোই যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হবে না, বললেন নতুন প্রধানমন্ত্রী

কানাডা কখনোই যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হবে না, বললেন নতুন প্রধানমন্ত্রী

অর্থনীতির সংকট কাটিয়ে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট: বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ গত বছরের জুলাইয়ে গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার এক বছর পূর্ণ করতে চললেও দেশের অর্থনীতি এখনও স্থবিরতার মধ্যেই রয়েছে। মূল্যস্ফীতি, বিনিয়োগে স্থবিরতা, কর্মসংস্থান সংকট, রফতানি হ্রাস ও রাজস্ব ঘাটতির মতো বহু সমস্যা সামনে রেখে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে। বাজেট প্রস্তুতের আগে অর্থ মন্ত্রণালয় যে আটটি প্রধান চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করেছে, তার মধ্যে রয়েছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা, সামাজিক নিরাপত্তা বাড়ানো, রাজস্ব আয় বৃদ্ধি, বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়ন এবং এলডিসি উত্তরণে প্রস্তুতি। অর্থ বিভাগ জানিয়েছে, এবারের বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। একইসঙ্গে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে উপকারভোগীর সংখ্যা ও ভাতার পরিমাণ বাড়ানোর পরিকল্পনাও থাকছে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীর ওপর যে চাপ তৈরি হয়েছে, তা সামাল দিতে কেবল সামাজিক সুরক্ষা বাড়ানোই যথেষ্ট নয়। নতুন বিনিয়োগে আগ্রহ না থাকায় দেশের শিল্প খাতেও স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মূলধনি যন্ত্রপাতির আমদানিতে এলসি খোলার হার ৩০ শতাংশ কমেছে। শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণ নেমে এসেছে ৪৮.৪১ শতাংশে এবং দেশে বর্তমানে বেকার সংখ্যা ২৭ লাখ ৩০ হাজার, যা এক বছরে বেড়েছে সোয়া তিন লাখ। বিদেশে কর্মী পাঠানোর হারও ২২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। তবে আশার কথা হলো—রেমিট্যান্সের প্রবাহ বেড়েছে এবং মার্চ ও এপ্রিল মাসে তা রেকর্ড পরিমাণে পৌঁছেছে। এদিকে বাজেট ঘাটতি মোকাবিলায় সরকারের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে এনবিআরের লক্ষ্য ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি। তবে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে এনবিআর মাত্র ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করতে পেরেছে, ফলে প্রায় ৬৫ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি দেখা দিয়েছে। সরকার নতুন খাতে কর আরোপ এবং কর ব্যবস্থার অটোমেশন চালুর মাধ্যমে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর চেষ্টা করছে। সরকারি ঋণের পরিমাণ এরইমধ্যে দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা। নতুন বাজেট বাস্তবায়নে আরও ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে, যার মধ্যে সুদ পরিশোধেই ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। তবে ব্যাংক ঋণের ওপর নির্ভরতা কিছুটা কমিয়ে বাজেট ঘাটতি সীমিত রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, উচ্চাভিলাষী এই বাজেট বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও দক্ষ ব্যবস্থাপনা। বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেনের মতে, বাজেটের আকার আরও ছোট ও বাস্তবসম্মত হলে তা কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব হতো। সিপিডির মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, বাজেটের মাধ্যমে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক সুরক্ষা এবং বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে অগ্রাধিকার দিতে হবে। বৈদেশিক বাণিজ্যেও নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক, ভারতের পণ্যে নিষেধাজ্ঞা এবং বৈশ্বিক বাজারের অস্থিরতায় রফতানি কমেছে। আখাউড়া স্থলবন্দরের মতো সীমান্ত বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ পথগুলোর কার্যকারিতা কমে গেছে। এছাড়া, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং চাঁদাবাজি ও সাইবার হুমকির কারণে বিনিয়োগকারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এমন অবস্থায় ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি বিনিয়োগ সুরক্ষায় ‘ফাস্ট-ট্র্যাক অভিযোগ নিষ্পত্তি’ এবং ‘ই-কমার্স নিরাপত্তা ইউনিট’ গঠনের আহ্বান জানিয়েছে। এই সব বাস্তবতায় সরকারের সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো একটি বাস্তবসম্মত রোডম্যাপ তৈরি ও তার কার্যকর বাস্তবায়ন, যার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে গতি ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।

অর্থনীতির সংকট কাটিয়ে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট: বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ

রোদ ছাড়াও যেভাবে পাবেন ভিটামিন ডি

ভিটামিন ডি: গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও উপকারিতা

নতুন বছরেও গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল

নতুন বছরেও গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল

মিষ্টি কুমড়ার বীজের অসাধারণ উপকারিতা

মিষ্টি কুমড়ার বীজের অসাধারণ উপকারিতা

নিক পোথাস বিসিবির সহকারী কোচের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন

নিক পোথাস বিসিবির সহকারী কোচের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন