নতুন বছরেও গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল
নতুন বছরেও গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল
নববর্ষের দিনেও গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। উত্তরের গাজার জাবালিয়া এবং আল বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ১৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ভারী বৃষ্টির কারণে এই অঞ্চলে শত শত অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র প্লাবিত হয়ে বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, ফলে বহু ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়ে সংকটে পড়েছেন। ইসরায়েলি বাহিনী মানবিক সহায়তার প্রবেশেও বাধা দিচ্ছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গাজার হাসপাতালগুলোতে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। সেখানে প্রায় সকল হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে এবং চিকিৎসা সেবা দিতে পারছে না।
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় প্রাণ হারানো ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৪৫ হাজার ৫০০ ছাড়িয়ে গেছে। হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় নিহতের সংখ্যা ৪৫ হাজার ৫৪১ জন এবং আহত হয়েছে ১ লাখ ৮ হাজার ৩৩৮ জন। শীতের তীব্রতা ও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে বিশেষ করে শিশুরা বিপদে রয়েছে। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে এক মাস বয়সী শিশুর মৃত্যু হয়, যার মৃত্যুর কারণ তীব্র শীত।
এছাড়া, গত কয়েক দিনে শৈত্যপ্রবাহ ও তুষারপাতের কারণে মৃতের সংখ্যা আরও বেড়ে সাতজনে পৌঁছেছে। আশ্রয়শিবিরগুলোর পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, এই শিবিরগুলি শীত প্রতিরোধে অকার্যকর হয়ে পড়েছে।
গাজার প্রশাসন সরাসরি ইসরায়েলকে এই মানবিক বিপর্যয়ের জন্য দায়ী করেছে। তাদের দাবি, ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসন ও গণহত্যার কারণে গাজার মানুষের জীবন আরও বিপন্ন হয়েছে এবং বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলোও এতে অংশীদার। গাজার প্রশাসন এই বর্বরতা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে।