প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ চায় দ. কোরিয়ার ক্ষমতাসীন দল
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের বিরুদ্ধে অভিশংসনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সামরিক আইন চালুর চেষ্টার কারণে প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবি উঠেছে। ক্ষমতাসীন পিপলস পাওয়ার পার্টির প্রধান হ্যানডং-হুনও এ পদত্যাগকে সমর্থন জানিয়েছেন।
পিপলস পাওয়ার পার্টির প্রধান জানান, প্রেসিডেন্ট ইউন দেশের গোয়েন্দা সংস্থাকে ভিন্নমতাবলম্বীদের গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। হ্যানডং-হুনের এই অবস্থানের ফলে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে দলীয় সমর্থন হ্রাস পেয়েছে। এরই মধ্যে শাসক দলের ১৮ জন সংসদ সদস্য বিরোধী দলের অভিশংসন প্রস্তাব সমর্থন করেছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার ৩০০ সদস্যের পার্লামেন্টে অভিশংসন প্রস্তাব পাস করতে দুই-তৃতীয়াংশ, অর্থাৎ ২০০টি ভোট প্রয়োজন। বিরোধী জোটের ১৯২ জন সদস্য ইতোমধ্যে প্রস্তাব জমা দিয়েছেন। শাসক দলের অংশীদারদের সমর্থন পাওয়ায় প্রস্তাব পাস হওয়ার বিষয়টি কার্যত নিশ্চিত।
বিরোধীদের অভিযোগ, মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট সামরিক শাসন চালুর চেষ্টা করেন, যা দেশজুড়ে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি করে। এর ফলে তাঁর বিরুদ্ধে বিরোধী দল এবং ক্ষমতাসীন দলের ভেতরে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
যদি প্রেসিডেন্ট ইউনকে অভিশংসন করা হয়, তবে বিষয়টি সংবিধান আদালতের কাছে যাবে। আদালত ঠিক করবে তিনি পদে থাকবেন নাকি অপসারিত হবেন। যদি তিনি পদত্যাগ করেন বা অভিশংসিত হন, তবে ৬০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন হবে। অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকবেন হান ডাক-সু।
দক্ষিণ কোরিয়ার এই রাজনৈতিক সংকট দেশটির স্থিতিশীলতা এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এর অবস্থান নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।