ইন্টারনেট সুরক্ষায় সচেতনতা বাড়ানোর তাগিদ, সরকার নাগরিক হয়রানি চায় না
সরকার মেটার (ফেসবুক) কাছ থেকে কোনো নাগরিকের পোস্ট ডিলিট করার বা হয়রানিমূলক তথ্য চায় না, তবে ক্রিপ্টোকারেন্সি ও আর্থিক জালিয়াতির ক্ষেত্রে এসব তথ্য প্রয়োজন হতে পারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমআইএস ডিপার্টমেন্টের কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরাম’-এর আলোচনায় এমন মন্তব্য করেছেন আইসিটি ও টেলিকম বিভাগের নীতি উপদেষ্টা ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
তিনি জানান, দেশে ফেসবুক ও গুগলের সার্ভার না থাকায় নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সিডিএন সার্ভার ও ডিপ প্যাকেট ইন্সপেকশন সার্ভারের অভাব থাকায় ইন্টারনেটের ওপর দেশের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বিটিআরসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. খলিলুর রহমান বলেন, ইন্টারনেট কখনোই বন্ধ করা যাবে না, কারণ এটি এখন মৌলিক মানবাধিকার। আইন নয়, বরং গাইডলাইন ও সচেতনতার মাধ্যমে ইন্টারনেট নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
আলোচনায় ডেইলি স্টারের সিনিয়র রিপোর্টার জাইমা ইসলাম ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে ‘সম্পূর্ণ ব্যর্থ’ দাবি করে বলেন, এটি জনগণের অধিকার ও জাতীয় নিরাপত্তাকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছিল এবং বিগত সরকারের দমন-পীড়নের হাতিয়ার ছিল।
বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামের (বিআইজিএফ) চেয়ারম্যান আমিনুল হাকিম বলেন, ইন্টারনেট প্রযুক্তি নয়, বরং এটি ডিজিটাল অধিকার। কোনো সরকার যেন ইন্টারনেট বন্ধ করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি আরও বলেন, আইন দিয়ে নয়, সচেতনতার মাধ্যমে গ্লোবাল ভিলেজের সুরক্ষা নিশ্চিত করা দরকার।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু সাইদ মো. কারুজ্জামান, এপনিকের ইন্টারনেট রিসোর্স বিশ্লেষক সুবহা শামারুখ, ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর নট ফর প্রফিট ল-এর শারমিন খান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর সাইমুম রেজা তালুকদার ও আবদুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।