হুথিদের হাতে ছয় সপ্তাহে ভূপাতিত আমেরিকার ৭ ড্রোন
ইয়েমেনের সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হুথিরা মাত্র ছয় সপ্তাহের ব্যবধানে যুক্তরাষ্ট্রের সাতটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে।
এই সাত ড্রোনের সম্মিলিত মূল্য প্রায় ২০ কোটি মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় দুই হাজার ৪০০ কোটি টাকার সমপরিমাণড্রোন ধ্বংসের সময়কাল ও মূ
বার্তা সংস্থা এপি শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) মার্কিন নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে জানায়, গত ৩১ মার্চ থেকে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে এসব ড্রোন ভূপাতিত হয়।
এর মধ্যে কেবল গত সপ্তাহেই তিনটি ড্রোন গুলি করে নামিয়েছে হুথি যোদ্ধারা, যা তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা সক্ষমতার শক্ত প্রতিচ্ছবি বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রতিটি ড্রোনের মূল্য ছিল প্রায় তিন কোটি ডলার। এসব ড্রোন নজরদারি এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জন্য ব্যবহৃত হতো বলে জানা পটভূমি ও সামরিক সংঘাতের ধারা
গত ১৫ মার্চ, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আনুষ্ঠানিকভাবে হুথিদের বিরুদ্ধে সামরিক হামলার নির্দেশ দেন।
তারপর থেকেই ইয়েমেনের হুথি-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় মার্কিন সামরিক বাহিনী বিমান হামলা এবং ড্রোন হামলা জোরদার করে।
মার্কিন নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভূপাতিত হওয়া সাতটি ড্রোন ৩১ মার্চ, ৩ এপ্রিল, ৯ এপ্রিল, ১৩ এপ্রিল, ১৮ এপ্রিল, ১৯ এপ্রিল এবং ২২ এপ্রিল বিভিন্ন সময়ে গুলি করে নামানো হয়।
এখনো পর্যন্ত ড্রোন হারানোর ঘটনাগুলো তদন্তাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন নিরাপত্তা করসামরিক অভিযানের পরিসংখ্যান
এদিকে গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের মুখপাত্র ডেভ ইস্টবার্ন জানান, ইয়েমেনে মার্কিন বাহিনী এখন পর্যন্ত আট শতাধিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে।
এই হামলায় হুথিদের কমান্ড সেন্টার, অস্ত্রের গুদাম এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস করা হয়েছে।
তাছাড়া শত শত হুথি যোদ্ধা ও নেতাও নিহত হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
তবে এসব দাবি স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভবলোহিত সাগর সংকট ও সংঘাতের সূত্রপাত
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন শুরুর পর হুথিরা ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে লোহিত সাগরের বাণিজ্যিক পথ ইসরাইল, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের জন্য কার্যত অবরুদ্ধ করে দেয়।
এর প্রতিক্রিয়ায় ওয়াশিংটন ও তার মিত্ররা ইয়েমেনে হুথি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়ে আসছে।
বিশ্লেষকদের মতে, হুথিদের সাম্প্রতিক ড্রোন ভূপাতিত করার সাফল্য মার্কিন সামরিক কৌশলের জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।
এটি ভবিষ্যতে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অভিযানের নিরাপত্তা ও কৌশল নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলছে। হয়নি।