মঙ্গলবার, ১লা জুলাই, ২০২৫| দুপুর ১২:১৬

চিকিৎসা ব্যয়ে বছরে ৫০ লাখ মানুষ গরিব হচ্ছেন: বিএমইউ উপাচার্য

প্রতিবেদক
staffreporter
মে ৫, ২০২৫ ৯:২৯ অপরাহ্ণ
চিকিৎসা ব্যয়ে বছরে ৫০ লাখ মানুষ গরিব হচ্ছেন: বিএমইউ উপাচার্য

চিকিৎসা ব্যয়ে বছরে ৫০ লাখ মানুষ গরিব হচ্ছেন: বিএমইউ উপাচার্য

বাংলাদেশে চিকিৎসা ব্যয় কমানো অত্যন্ত জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম। তিনি জানান, বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর দেশের প্রায় ৫০ লাখ মানুষ চিকিৎসা খরচ মেটাতে গিয়ে দারিদ্র্যের চক্রে পড়ে যাচ্ছেন।

রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ সোসাইটি অব নিউরোসার্জনস (বিএসএনএস)-এর তিনদিনব্যাপী চতুর্থ অন্তর্বর্তী সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে তিনি আন্তর্জাতিক একটি গবেষণার বরাত দিয়ে জানান, দেশের এক শতাংশ সার্জারি রোগী চিকিৎসার টাকা জোগাড় করতে ভিক্ষা করতে বাধ্য হন এবং ১২ শতাংশ রোগী চক্রবৃদ্ধি সুদে ঋণ গ্রহণ করেন, যা তারা পরবর্তীতে শোধ করতে পারেন না এবং অনেক সময় সহায়-সম্পত্তি বিক্রি করতে হয়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যা বেশি হওয়ায় রোগীর সংখ্যাও প্রচুর। উন্নত অনেক দেশের মতো আধুনিক যন্ত্রপাতি থাকলেও সেখানে রোগীর সংখ্যা কম। ফলে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে চিকিৎসা ব্যবস্থার আরও উন্নয়ন প্রয়োজন এবং তা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল হোসেন বলেন, দেশের চিকিৎসকরা আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিচ্ছেন। সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও নিউরো সার্জারিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তারা অগ্রগতি অর্জন করছেন। সরকারও চিকিৎসা শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবার মানোন্নয়নে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

তিনদিনব্যাপী এই আয়োজনে বাংলাদেশ সোসাইটি অব নিউরো সার্জনসের পক্ষ থেকে বৈজ্ঞানিক সম্মেলন, লাইভ সার্জারি, থ্রিডি অ্যানাটমি সেশন এবং অ্যান্ডো ভাস্কুলার সিমুলেশনসহ নানা কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএসএনএসের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মওদুদুল হক, সদস্য সচিব ডা. মোহাম্মদ নুরুজ্জামান খান, অর্ন্তবর্তী সভা বাস্তবায়ন কমিটির চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ডা. মাঈনুল হক সরকারসহ দেশি-বিদেশি ৩০০ জনের বেশি নিউরো সার্জন।

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - বানিজ্য ও অর্থনীতি

আপনার জন্য নির্বাচিত
অর্থনীতির সংকট কাটিয়ে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট: বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ গত বছরের জুলাইয়ে গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার এক বছর পূর্ণ করতে চললেও দেশের অর্থনীতি এখনও স্থবিরতার মধ্যেই রয়েছে। মূল্যস্ফীতি, বিনিয়োগে স্থবিরতা, কর্মসংস্থান সংকট, রফতানি হ্রাস ও রাজস্ব ঘাটতির মতো বহু সমস্যা সামনে রেখে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে। বাজেট প্রস্তুতের আগে অর্থ মন্ত্রণালয় যে আটটি প্রধান চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করেছে, তার মধ্যে রয়েছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা, সামাজিক নিরাপত্তা বাড়ানো, রাজস্ব আয় বৃদ্ধি, বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়ন এবং এলডিসি উত্তরণে প্রস্তুতি। অর্থ বিভাগ জানিয়েছে, এবারের বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। একইসঙ্গে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে উপকারভোগীর সংখ্যা ও ভাতার পরিমাণ বাড়ানোর পরিকল্পনাও থাকছে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীর ওপর যে চাপ তৈরি হয়েছে, তা সামাল দিতে কেবল সামাজিক সুরক্ষা বাড়ানোই যথেষ্ট নয়। নতুন বিনিয়োগে আগ্রহ না থাকায় দেশের শিল্প খাতেও স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মূলধনি যন্ত্রপাতির আমদানিতে এলসি খোলার হার ৩০ শতাংশ কমেছে। শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণ নেমে এসেছে ৪৮.৪১ শতাংশে এবং দেশে বর্তমানে বেকার সংখ্যা ২৭ লাখ ৩০ হাজার, যা এক বছরে বেড়েছে সোয়া তিন লাখ। বিদেশে কর্মী পাঠানোর হারও ২২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। তবে আশার কথা হলো—রেমিট্যান্সের প্রবাহ বেড়েছে এবং মার্চ ও এপ্রিল মাসে তা রেকর্ড পরিমাণে পৌঁছেছে। এদিকে বাজেট ঘাটতি মোকাবিলায় সরকারের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে এনবিআরের লক্ষ্য ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি। তবে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে এনবিআর মাত্র ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করতে পেরেছে, ফলে প্রায় ৬৫ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি দেখা দিয়েছে। সরকার নতুন খাতে কর আরোপ এবং কর ব্যবস্থার অটোমেশন চালুর মাধ্যমে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর চেষ্টা করছে। সরকারি ঋণের পরিমাণ এরইমধ্যে দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা। নতুন বাজেট বাস্তবায়নে আরও ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে, যার মধ্যে সুদ পরিশোধেই ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। তবে ব্যাংক ঋণের ওপর নির্ভরতা কিছুটা কমিয়ে বাজেট ঘাটতি সীমিত রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, উচ্চাভিলাষী এই বাজেট বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও দক্ষ ব্যবস্থাপনা। বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেনের মতে, বাজেটের আকার আরও ছোট ও বাস্তবসম্মত হলে তা কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব হতো। সিপিডির মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, বাজেটের মাধ্যমে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক সুরক্ষা এবং বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে অগ্রাধিকার দিতে হবে। বৈদেশিক বাণিজ্যেও নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক, ভারতের পণ্যে নিষেধাজ্ঞা এবং বৈশ্বিক বাজারের অস্থিরতায় রফতানি কমেছে। আখাউড়া স্থলবন্দরের মতো সীমান্ত বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ পথগুলোর কার্যকারিতা কমে গেছে। এছাড়া, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং চাঁদাবাজি ও সাইবার হুমকির কারণে বিনিয়োগকারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এমন অবস্থায় ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি বিনিয়োগ সুরক্ষায় ‘ফাস্ট-ট্র্যাক অভিযোগ নিষ্পত্তি’ এবং ‘ই-কমার্স নিরাপত্তা ইউনিট’ গঠনের আহ্বান জানিয়েছে। এই সব বাস্তবতায় সরকারের সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো একটি বাস্তবসম্মত রোডম্যাপ তৈরি ও তার কার্যকর বাস্তবায়ন, যার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে গতি ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।

পরিবর্তিত সময়সূচিতে ৪৬তম বিসিএস লিখিত ও ৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে

রুশ বাহিনী ইউক্রেনের বিমানঘাঁটিতে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে

রুশ বাহিনী ইউক্রেনের বিমানঘাঁটিতে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি, আহত ১৩৭

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি, আহত ১৩৭

শান্তি মানে ইউক্রেনের আত্মসমর্পণ করা নয় : ম্যাক্রোঁ

শান্তি মানে ইউক্রেনের আত্মসমর্পণ করা নয় : ম্যাক্রোঁ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ম্যুরাল ভাঙচুর

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ম্যুরাল ভাঙচুর

রণবীর কাপুরের 'প্রথম বিয়ে' নিয়ে অনুরাগীদের চমক!

রণবীর কাপুরের ‘প্রথম বিয়ে’ নিয়ে অনুরাগীদের চমক!

শেখ হাসিনার সম্মানসূচক ডিগ্রি বাতিলের বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যালোচনা

শেখ হাসিনার সম্মানসূচক ডিগ্রি বাতিলের বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যালোচনা

ভারতকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, বাংলাদেশের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক চায়

ভারতকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, বাংলাদেশের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক চায়

ট্রাম্পের আলোচনার আহ্বান প্রত্যাখ্যান খামেনির

ট্রাম্পের আলোচনার আহ্বান প্রত্যাখ্যান খামেনির

আজকের নামাজের সময়সূচি (১ জুলাই, ২০২৫)

আজকের নামাজের সময়সূচি (২২ মে, ২০২৫)