মশানাশক ব্যবহারে সতর্কতা জরুরি, না হলে ক্ষতির শিকার হতে পারেন আপনিও
মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে অনেকে রাতে ধূপ বা বৈদ্যুতিক মশানাশক ব্যবহার করেন। এতে নিঃসন্দেহে মশা কমে যায় এবং ঘুম হয় নিশ্চিন্ত। কিন্তু এই উপায় কতটা নিরাপদ, তা নিয়ে সচেতনতা অনেকেরই নেই। কারণ, এইসব মশানাশক শুধু মশার জন্য নয়, মানবদেহের জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মশানাশক যন্ত্রে সাধারণত ব্যবহৃত হয় অ্যালেথ্রিন বা প্রালেথ্রিন নামক রাসায়নিক, যা চন্দ্রমল্লিকা জাতীয় গাছ থেকে তৈরি প্রাকৃতিক কীটনাশকের এক ধরনের রূপ। যদিও এগুলো মশা দূরে রাখতে কার্যকর, তবে দীর্ঘ সময় ব্যবহারে তা মানবদেহে ক্ষতি করতে পারে। বিশেষ করে শিশু ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভোগা মানুষদের জন্য এসব উপাদান অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
চিকিৎসকরা বলছেন, সারারাত ধরে যদি এই ধরনের তেল বা ধূপ জ্বালিয়ে রাখা হয় এবং ঘরে বাতাস চলাচল না থাকে, তাহলে মাথা ঘোরা, চোখে জ্বালাপোড়া, গলায় অস্বস্তির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। যারা আগে থেকেই অ্যাস্থমা বা অন্য শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভোগেন, তাঁদের জন্য এই সমস্যাগুলো আরও তীব্র হয়ে উঠতে পারে। এমনকি অ্যালার্জিও হতে পারে দীর্ঘমেয়াদে।
তবে চাইলে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করে এই ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো সম্ভব। যেমন:
১। মশানাশক যন্ত্র বা ধূপ যেন বিছানা বা ঘুমের জায়গা থেকে কয়েক ফুট দূরে থাকে।
২। ঘরের অন্তত একটি জানালা খোলা রাখা জরুরি, যাতে হাওয়া চলাচল ঠিক থাকে।
৩। সারারাত জ্বালিয়ে না রেখে, ঘুমের কিছুক্ষণ আগে চালিয়ে ঘুমাতে যাওয়ার আগে নিভিয়ে দেওয়া ভালো।
সবশেষে, ঘরে মশা না ঢুকতে দেওয়ার প্রাকৃতিক ও নিরাপদ পদ্ধতি যেমন মশারি ব্যবহার, ঘরের চারপাশ পরিষ্কার রাখা, বা লেবুতে লবঙ্গ গেঁথে রাখা—এসব উপায়ও বিবেচনায় রাখা যেতে পারে। এতে আপনি ও আপনার পরিবারের স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে অনেকটাই নিরাপদ থাকবেন।