বুধবার, ১৬ই এপ্রিল, ২০২৫| সন্ধ্যা ৭:৪৯

নাটোরে ইসরায়েলবিরোধী মিছিলে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

প্রতিবেদক
staffreporter
এপ্রিল ১২, ২০২৫ ৬:৫৭ অপরাহ্ণ
নাটোরে ইসরায়েলবিরোধী মিছিলে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

নাটোরে ইসরায়েলবিরোধী মিছিলে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে ইসরায়েলবিরোধী মিছিল ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কুশপুত্তলিকা দাহকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক, এবং একজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাতে বড়াইগ্রাম উপজেলার জুয়াড়ি ইউনিয়নের কামরদহ এলাকায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার রাতে স্থানীয় বিএনপি কর্মীরা ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে একটি মিছিলের আয়োজন করে। মিছিল শেষে তারা ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কুশপুত্তলিকা দাহ করছিলেন। এ সময় বিএনপির আরেকটি গ্রুপের কয়েকজন মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। তারা বলেন, “নামাজ না পড়ে মিছিল করতে আসছে।” এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, যা কিছুক্ষণের মধ্যেই সংঘর্ষে রূপ নেয়।

এই সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে জুয়েল, মোতালেব, শরিফুল ইসলাম এবং জাহিদুল ইসলাম নামে চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে জাহিদুল ইসলামের অবস্থার অবনতি হলে তাকে দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অন্য আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। স্থানীয়রা জানান, এই সংঘর্ষে দুই পক্ষই একে অপরের ওপর হামলা চালায়, যা পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তোলে।

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তিনি বলেন, “আমরা দ্রুত পুলিশ পাঠিয়েছি। এছাড়া সেনাবাহিনীও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।” তবে তিনি জানান, এই ঘটনায় এখনো কোনো পক্ষ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

এই ঘটনা স্থানীয়ভাবে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানাতে গিয়ে বিএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসায় অনেকেই হতাশা প্রকাশ করছেন। স্থানীয়রা বলছেন, এ ধরনের সংঘর্ষ এলাকার শান্তি ও ঐক্যের জন্য ক্ষতিকর।

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - বানিজ্য ও অর্থনীতি