অসংখ্য পরিবারের ঈদ আনন্দ কেড়ে নিয়েছে আ. লীগ: রেজাউল করিম
ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, “অসংখ্য পরিবারের ঈদের আনন্দ কেড়ে নিয়েছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ।” তিনি বলেন, “এই পরিবারগুলোর ঈদ কান্না আর বিষাদে কেটেছে। বিশেষ করে জুলাই আন্দোলনে শহীদ হওয়া পরিবারগুলোর জন্য এই ঈদ ছিল শোকের।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, “অনেকে গুলিবিদ্ধ হয়ে পঙ্গু হয়েছেন, হাসপাতালে পড়ে আছেন। তাদের কাছে ঈদের কোনো আনন্দ নেই।”
মঙ্গলবার, পহেলা এপ্রিল, সকালে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জে জামায়াতের এক কর্মী সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তার কথায় ফুটে উঠেছে গত কয়েক বছরে দেশের মানুষের দুঃখ-কষ্টের চিত্র।
রেজাউল করিম আরও বলেন, “গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের কিছু এলাকা ফিলিস্তিন বা গাজার মতো হয়ে গিয়েছিল। আওয়ামী লীগ শাপলা চত্বরকে ফিলিস্তিন বানিয়েছে। তারা বহু আলেম-ওলামাকে হত্যা করেছে।” তিনি সমালোচনা করে বলেন, “তারা আমাদের বলতো পাকিস্তান চলে যান। কিন্তু আমরা কেউ পাকিস্তান যাইনি। উল্টো তারাই ভারতে পালিয়ে গেছে।” তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, “জুলাই আন্দোলনে শহীদদের রক্তের বিনিময়ে যে বাংলাদেশ তৈরি হয়েছে, সেখানে আমরা ইনসাফ আর ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলব।”
এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয় ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে। সভাপতিত্ব করেন ওয়ার্ড সভাপতি মো. জাকির হোসেন, আর সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন সেক্রেটারি আব্দুর রব। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বাড্ডা থানার আমির মাওলানা কুতুব উদ্দিন, পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি হারুনুর রশিদ, ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাওলানা আবু সালেহ ইব্রাহীম, সেক্রেটারি হাফেজ আবদুল হক, আর ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী তাযেফ হোসেনসহ আরও অনেকে।
রেজাউল করিমের বক্তব্যে শহীদ পরিবারগুলোর প্রতি গভীর সমবেদনা ফুটে উঠেছে। তিনি বলেন, “যারা জুলাইয়ে প্রাণ দিয়েছে, তাদের পরিবারের কাছে ঈদ মানে শুধুই কান্না।” তিনি একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে বলেন, “একজন মা আমাকে বললেন, তার ছেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে। ঈদে তিনি ছেলের মুখ দেখতে পাননি।”
তিনি আওয়ামী লীগের শাসনামলের সমালোচনা করে বলেন, “তারা দেশকে দমিয়ে রেখেছিল। মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা ছিল না। শাপলা চত্বরে যা ঘটেছে, তা আমরা ভুলতে পারি না।” তিনি কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “আমাদের লড়াই শেষ হয়নি। শহীদদের স্বপ্ন পূরণ করতে আমাদের একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়তে হবে।”
রেজাউল করিম শেষে বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, জনগণের শক্তি দিয়েই আমরা পরিবর্তন আনব। শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না।”