ইসরায়েলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইসরায়েল সম্প্রতি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মুখে পড়েছে, যা মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। গত ২৩ মার্চ ২০২৫-এ ইয়েমেনের হুথি গোষ্ঠী ইসরায়েলের বেন গুরিওন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লক্ষ্য করে এই হামলা চালায়। হুথিরা দাবি করেছে, তারা ‘ফিলিস্তিন-২’ নামে একটি হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে, যা তাদের মতে সফলভাবে লক্ষ্যে আঘাত হেনেছে। এই হামলার পর ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানায়, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘অ্যারো’ এই ক্ষেপণাস্ত্রটি আকাশেই ধ্বংস করে দিয়েছে। তবে বিস্ফোরণের শব্দ আর ধোঁয়ায় তেল আবিব ও আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
হুথি মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি এক বিবৃতিতে বলেন, “এই হামলা গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের জবাব। আমরা ফিলিস্তিনের পাশে আছি।” গত দুই দিনে এটি তৃতীয়বারের মতো ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে হুথিরা। এর আগে তারা একটি মার্কিন বিমানবাহী রণতরীতেও আক্রমণের দাবি করেছিল। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জানায়, হামলার সময় তেল আবিবের আকাশে সাইরেন বেজে ওঠে, আর বাসিন্দারা নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটে যান। একজন স্থানীয় বলেন, “আমরা ঘুমিয়ে ছিলাম, হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। ভয়ে বাচ্চারা কাঁদছিল।”
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, হুথিদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি ইয়েমেন থেকে প্রায় ২,০০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ইসরায়েলে পৌঁছেছিল। তারা বলছে, “আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি সক্রিয় ছিল। কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।” তবে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, আকাশে আলোর ঝলকানি আর ধ্বংসের দৃশ্য। এই ঘটনায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পাল্টা হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেন, “যারা আমাদের আঘাত করবে, তারা পরিণতি ভোগ করবে।”