শনিবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৫| ভোর ৫:১৫

ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ, দিল্লির ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া

প্রতিবেদক
staffreporter
মার্চ ২৮, ২০২৫ ৮:১৮ অপরাহ্ণ
ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা 'র'-এর ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ, দিল্লির ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া

ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ, দিল্লির ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া

যুক্তরাষ্ট্রের একটি সংস্থা সম্প্রতি ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং’ (র)-এর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সুপারিশ করেছে। ইউনাইটেড স্টেটস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম (ইউএসসিআইআরএফ) তাদের ২০২৫ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে এই প্রস্তাব দিয়েছে। গত ২৫ মার্চ প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতা গুরুতরভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে। শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের হত্যার পরিকল্পনায় ‘র’-এর জড়িত থাকার অভিযোগও উঠেছে। এছাড়া, সংখ্যালঘুদের ওপর ক্রমবর্ধমান নিপীড়ন, বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য, এবং কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের মতো ঘটনার কথাও তুলে ধরা হয়েছে।

এই সুপারিশে দিল্লি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। ২৬ মার্চ ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “এই প্রতিবেদন পক্ষপাতপূর্ণ ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।” তিনি ইউএসসিআইআরএফ-কে ‘উদ্বেগের সংস্থা’ হিসেবে চিহ্নিত করার দাবি জানান। ভারতের দাবি, কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে বিকৃত করে তাদের বহুত্ববাদী সমাজের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা চলছে। “আমাদের ১৪০ কোটি মানুষের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য এসব অপপ্রচারে ক্ষুণ্ন হবে না,” বলেন তিনি।

প্রতিবেদনে ‘র’-এর পাশাপাশি সাবেক কর্মকর্তা বিকাশ যাদবের নামও উল্লেখ আছে। ২০২৩ সালে নিউইয়র্কে এক শিখ নেতার হত্যাচেষ্টায় তার জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনা ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি করেছে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, চীনের প্রভাব মোকাবিলায় ভারতকে গুরুত্ব দেয় ওয়াশিংটন। ফলে এই সুপারিশ বাধ্যতামূলক না হওয়ায় নিষেধাজ্ঞা আরোপের সম্ভাবনা কম।

স্থানীয় একজন বলেন, “এসব অভিযোগে আমরা অবাক। আমাদের দেশে সবাই মিলেমিশে থাকি।” তবে মানবাধিকারকর্মীরা মনে করেন, সংখ্যালঘুদের দুর্দশা নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জোর দিয়ে বলছে, “এটি একটি ইচ্ছাকৃত এজেন্ডা।”

এদিকে, প্রতিবেদনে ভিয়েতনামকেও ‘বিশেষ উদ্বেগের দেশ’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অবশ্য সংখ্যালঘুদের বৈষম্যের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, “আমাদের প্রকল্প সবার জন্য।” তবু এই ঘটনায় দুই দেশের সম্পর্কে নতুন আলোচনা শুরু হয়েছে।

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - বানিজ্য ও অর্থনীতি