শনিবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৫| সন্ধ্যা ৭:২২

সিরিয়ায় ‘আসাদের মুফতি’ পালানোর সময় আটক

প্রতিবেদক
staffreporter
মার্চ ২৮, ২০২৫ ৮:১২ অপরাহ্ণ
সিরিয়ায় ‘আসাদের মুফতি’ পালানোর সময় আটক

সিরিয়ায় ‘আসাদের মুফতি’ পালানোর সময় আটক

সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের শাসনামলের গ্র্যান্ড মুফতি আহমাদ হাসুনকে পালানোর সময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ২৬ মার্চ ২০২৫-এ দামেস্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে আটক করে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানায়, হাসুন দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টায় ছিলেন। তিনি নিজেকে অন্ধ ব্যক্তি হিসেবে ছদ্মবেশ ধরেছিলেন, কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। এই ঘটনা সিরিয়ার নতুন সরকারের জন্য বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।

আহমাদ হাসুন ২০০৫ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত সিরিয়ার গ্র্যান্ড মুফতি ছিলেন। আসাদের ঘনিষ্ঠ এই ধর্মীয় নেতা গৃহযুদ্ধের সময় বিতর্কিত ফতোয়া দিয়ে আলোচনায় আসেন। ২০১৬ সালে তিনি আলেপ্পোতে বেসামরিক নাগরিকদের ‘নির্মূল’ করার আহ্বান জানান। এই ফতোয়ার জেরে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর জন্য তাকে দায়ী করা হয়। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তাকে যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ করে। আসাদের পতনের পর তিনি নতুন সরকারের কাছে মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় ছিলেন।

গত ডিসেম্বরে বিদ্রোহীরা দামেস্ক দখল করলে আসাদ রাশিয়ায় পালান। এরপর থেকে তার অনুগতরা দেশ ছাড়ার চেষ্টায় ছিলেন। হাসুনও তেমনই একজন। স্থানীয় একজন বলেন, “যারা আমাদের ওপর অত্যাচার করেছে, তারা এখন পালাচ্ছে। কিন্তু বিচারের হাত থেকে বাঁচা কঠিন।” নিরাপত্তা বাহিনী জানায়, হাসুনের কাছে জাল নথি পাওয়া গেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

সিরিয়ার জনগণের মধ্যে এই গ্রেপ্তারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। একজন নাগরিক বলেন, “এটা ন্যায়বিচারের শুরু। আমরা শান্তি চাই।” আরেকজন বলেন, “এত বছরের কষ্টের পর এরা শাস্তি পাক, এটাই আমাদের দাবি।” নতুন সরকারের প্রধান আহমেদ শারা বলেছেন, “যারা জনগণের বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে, তাদের কাউকে ছাড়া হবে না।”

এই ঘটনা সিরিয়ায় আসাদ-পরবর্তী সময়ে স্থিতিশীলতার একটি ইঙ্গিত। তবে অনেকে মনে করেন, এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ বাকি। হাসুনের গ্রেপ্তারের পর তার বিচার কবে হবে, তা নিয়ে জনমনে কৌতূহল। সিরিয়ার এই নতুন অধ্যায়ে অতীতের ক্ষত ভোলার চেষ্টা চলছে, কিন্তু পথটা এখনো কঠিন।

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - বানিজ্য ও অর্থনীতি