ড. ইউনূস ও সেনাপ্রধানকে নিয়ে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বক্তব্য ভাইরাল
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সাম্প্রতিক বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে তিনি দাবি করেছেন, সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগের ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছিলেন।
আসিফ মাহমুদের মতে, সেনাপ্রধানের মূল আপত্তি ছিল ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান মামলা এবং আদালতে তার দোষী সাব্যস্ত হওয়ার বিষয়টি। তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন, “একজন দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তি কীভাবে দেশের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করতে পারেন?” শুধু তাই নয়, আওয়ামী লীগের একটি বড় অংশ তথা (প্রায় ৩০-৪০ শতাংশ) মানুষের মতামত উপেক্ষা করে ড. ইউনূসকে নিয়োগ দেওয়া কতটা যুক্তিসঙ্গত হবে, তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন তিনি।
তবে শেষ পর্যন্ত সেনাপ্রধান এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করলেও, অনিচ্ছার সঙ্গেই তা মেনে নেন বলে দাবি করেন আসিফ মাহমুদ।
বক্তব্যে আসিফ মাহমুদ আরও দাবি করেন, সাবেক ফ্যাসিস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতা থেকে বিদায়ের পর দেশ পরিচালনার জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছিল। তার ভাষায়, ড. ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করার সিদ্ধান্ত কোনো যৌথ সিদ্ধান্ত ছিল না। বরং আমেরিকান দূতাবাসের কয়েকজন কর্মকর্তা এবং অন্যান্য মাধ্যমে ড. ইউনূসের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করা হয়।
প্রাথমিকভাবে ড. ইউনূস রাজনীতিতে আসতে আগ্রহী ছিলেন না। তবে আসিফ মাহমুদের ধারাবাহিক অনুরোধের পর তিনি এই দায়িত্ব নিতে রাজি হন বলে জানান উপদেষ্টা।
আসিফ মাহমুদের এই বক্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, সেনাপ্রধান এবং আন্তর্জাতিক মহলের ভূমিকা নিয়ে আসিফ যে তথ্য দিয়েছেন, তা কতটা সত্য এবং এর রাজনৈতিক প্রভাব কী হতে পারে?
এ নিয়ে এখনো সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আসিফ মাহমুদের এই বক্তব্য ভবিষ্যতে রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলতে পারে।