গাজায় অভিযান বন্ধের দাবিতে ইসরায়েলে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ
২০২৫ সালের মার্চ মাসে, ইসরায়েলি সমাজে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটে, যা দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে নতুন মাত্রা যুক্ত করে। গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের প্রতিবাদে হাজারো মানুষ তেল আবিবসহ বিভিন্ন শহরে রাস্তায় নেমে আসে। এই বিক্ষোভ ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিবেশ এবং সাধারণ মানুষের মতামতের প্রতিফলন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
প্রায় ১১ মাস আগে গাজা যুদ্ধ শুরু হয়। এই যুদ্ধ শুরুর পর ইসরায়েলে এত বড় ও ব্যাপক বিক্ষোভ আগে কখনো হয়নি। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা থেকে ছয় জিম্মির মৃতদেহ উদ্ধারের পর ইসরায়েলজুড়ে নতুন করে বিক্ষোভ শুরু হয়। ডাকা হয় দেশজুড়ে ধর্মঘট।
বিক্ষোভকারীরা গাজা উপত্যকায় চলমান সামরিক অভিযান অবিলম্বে বন্ধ করার দাবি জানান। তাদের মতে, এই অভিযান শুধুমাত্র ফিলিস্তিনি জনগণের দুর্ভোগ বাড়াচ্ছে না, বরং ইসরায়েলের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকেও জটিল করে তুলছে। তারা সরকারের কাছে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
ইসরায়েলি সরকার এই বিক্ষোভের প্রতিক্রিয়ায় সংযম প্রদর্শন করে। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বিক্ষোভকারীদের মতামতকে সম্মান জানিয়ে বলেন, “গণতান্ত্রিক দেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সবার অধিকার। তবে জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ে সরকারকে দায়িত্বশীল হতে হবে।” তিনি আরও জানান, গাজা অভিযানের মূল লক্ষ্য ইসরায়েলের নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ এই বিক্ষোভ আন্তর্জাতিক মহলেও প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা ইসরায়েলি জনগণের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে গাজা পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানায়। তারা মনে করেন, ইসরায়েলের জনগণের এই বিক্ষোভ মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
ইসরায়েলে গাজা অভিযানের বিরুদ্ধে এই গণবিক্ষোভ দেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার প্রতিফলন। এটি সরকারের নীতিনির্ধারণে সাধারণ মানুষের মতামতের গুরুত্বকে তুলে ধরে। এই বিক্ষোভ ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের প্রয়োজনীয়তা আরও স্পষ্ট করে তুলেছে।