শুক্রবার, ৬ই জুন, ২০২৫| রাত ১০:০০

হাইকোর্টের বিচারপতি খিজির হায়াতকে অপসারণ

প্রতিবেদক
staffreporter
মার্চ ২০, ২০২৫ ১:১৪ অপরাহ্ণ
হাইকোর্টের বিচারপতি খিজির হায়াতকে অপসারণ

হাইকোর্টের বিচারপতি খিজির হায়াতকে অপসারণ

বাংলাদেশের বিচার বিভাগে সাম্প্রতিক সময়ে উল্লেখযোগ্য একটি ঘটনা ঘটেছে। সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি খিজির হায়াতকে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক অপসারণ করা হয়েছে। এই পদক্ষেপ বিচার বিভাগের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ থেকে ১৯ মার্চ ২০২৫ তারিখে জারি করা প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয় যে, রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের (৬) দফা অনুযায়ী বিচারপতি খিজির হায়াতকে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক পদ থেকে ৮ মার্চ ২০২৫ তারিখে অপসারণ করেছেন।

প্রজ্ঞাপনে সরাসরি অপসারণের কারণ উল্লেখ না থাকলেও, বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় যে, বিচারপতি খিজির হায়াতের বিরুদ্ধে গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগ ছিল। এর আগে, ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে, সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীরা ‘দলবাজ, দুর্নীতিবাজ ও ফ্যাসিস্টের দোসর’ বিচারকদের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। এই বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বিভাগের ১২ জন বিচারপতিকে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখা হয়, যার মধ্যে বিচারপতি খিজির হায়াতও ছিলেন।

বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদে বিচারপতিদের অপসারণের প্রক্রিয়া ও শর্তাবলী বর্ণিত আছে। এই অনুচ্ছেদের (৬) দফায় বলা হয়েছে, যদি সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল তদন্ত শেষে রাষ্ট্রপতিকে রিপোর্ট দেয় যে কোনো বিচারক তার দায়িত্ব পালনে অক্ষম বা গুরুতর অসদাচরণ করেছেন, তবে রাষ্ট্রপতি সেই বিচারককে পদ থেকে অপসারণ করতে পারেন।

বিচারপতি খিজির হায়াতের অপসারণ বিচার বিভাগের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এই ঘটনা প্রমাণ করে যে, বিচার বিভাগের অভ্যন্তরে কোনো অসদাচরণ বা অনিয়মের ক্ষেত্রে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

২০২৪ সালের অক্টোবর মাসের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে মোট ১০৭ জন বিচারপতি কর্মরত ছিলেন। এর মধ্যে ৬ জন আপিল বিভাগে এবং ১০১ জন হাইকোর্ট বিভাগে দায়িত্ব পালন করছিলেন। হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিদের মধ্যে ৭৬ জন স্থায়ী এবং ২৫ জন অতিরিক্ত বিচারপতি ছিলেন।

বিচারপতি খিজির হায়াতের অপসারণ বাংলাদেশের বিচার বিভাগের স্বচ্ছতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। এই ঘটনা প্রমাণ করে যে, বিচার বিভাগের অভ্যন্তরে কোনো অসদাচরণ বা অনিয়মের ক্ষেত্রে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, যা দেশের বিচার ব্যবস্থার প্রতি জনগণের বিশ্বাস ও আস্থাকে আরও সুদৃঢ় করবে।

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - বানিজ্য ও অর্থনীতি

আপনার জন্য নির্বাচিত
এইচআর ও প্রশাসনে এক্সিকিউটিভ নিয়োগ দিচ্ছে স্কয়ার টেক্সটাইলস

এইচআর ও প্রশাসনে এক্সিকিউটিভ নিয়োগ দিচ্ছে স্কয়ার টেক্সটাইলস

কুয়েটে সংঘর্ষ - আহত ৬০, ক্যাম্পাসে সেনা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্ক অবস্থান

কুয়েটে সংঘর্ষ – আহত ৬০, ক্যাম্পাসে সেনা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্ক অবস্থান

বাংলাদেশের পণ্য আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা, করণীয় ঠিক করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জরুরি সভা

বাংলাদেশের পণ্য আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা, করণীয় ঠিক করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জরুরি সভা

শেখ মেহেদির দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে সিরিজ সেরা, দল নির্বাচনে অনিশ্চয়তা বহাল

স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড, ভরিপ্রতি ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা ছাড়াল

স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড, ভরিপ্রতি ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা ছাড়াল

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে সংঘর্ষ, দুই বাংলাদেশি আহত

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে সংঘর্ষ, দুই বাংলাদেশি আহত

স্পেনের মাদ্রিদে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীর উদ্যোগে ইফতার ও সেহরি মাহফিল

স্পেনের মাদ্রিদে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীর উদ্যোগে ইফতার ও সেহরি মাহফিল

পানি সংকট: যখন পৃথিবীর অনেক দেশ তৃষ্ণার্ত

পানি সংকট: যখন পৃথিবীর অনেক দেশ তৃষ্ণার্ত

বৈদ্যুতিক ‘লুজ কানেকশন’ থেকে সচিবালয়ে আগুন, নাশকতার প্রমাণ মেলেনি – তদন্ত কমিটি

রংপুর রাইডার্সের হারে হতাশ অধিনায়ক সোহান