শনিবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৫| সন্ধ্যা ৭:২২

জামায়াতের নেতৃত্বে দেশি-বিদেশি সমর্থন দেখে প্রতিপক্ষের ঘুম হারাম

প্রতিবেদক
staffreporter
মার্চ ১৫, ২০২৫ ৫:৪৭ অপরাহ্ণ
জামায়াতের নেতৃত্বে দেশি-বিদেশি সমর্থন দেখে প্রতিপক্ষের ঘুম হারাম

জামায়াতের নেতৃত্বে দেশি-বিদেশি সমর্থন দেখে প্রতিপক্ষের ঘুম হারাম

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী (জামায়াত) দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি উল্লেখযোগ্য দল হিসেবে পরিচিত। তাদের নেতৃত্বে দেশি-বিদেশি সমর্থনের উপস্থিতি প্রতিপক্ষের মধ্যে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জামায়াতের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময় দলটি পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে সরকার জামায়াতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে এবং নেতারা পাকিস্তানে নির্বাসনে চলে যান। পরবর্তীতে ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর রাজনৈতিক পরিবর্তনের ফলে ১৯৭৭ সালে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের শাসনামলে জামায়াতের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়।

১৯৮০-এর দশকে জামায়াত গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে এবং ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৮টি আসনে বিজয়ী হয়। পরবর্তীতে ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটের অংশ হিসেবে ক্ষমতায় আসে এবং জামায়াতের দুইজন সদস্য মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান।

তবে, ২০০৮ সালের পর থেকে জামায়াতের নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে মামলা ও দণ্ডের ফলে দলটি দুর্বল হয়ে পড়ে। ২০১৩ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হয়, যা তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করে।

বর্তমানে, জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে দেশবাসীর প্রতি বার্তা দিয়ে সমাজের বিভিন্ন সমস্যায় সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন। উদাহরণস্বরূপ, ২০১৯ সালে বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তিনি আহ্বান জানান।

জামায়াতের নেতৃত্বে দেশি-বিদেশি সমর্থনের উপস্থিতি প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের সুসংগঠিত কাঠামো, সামাজিক কার্যক্রম এবং আন্তর্জাতিক সংযোগ প্রতিপক্ষের জন্য চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করছে। বিশেষ করে, ইসলামী মূল্যবোধ ও সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে জামায়াত জনগণের মধ্যে সমর্থন অর্জন করেছে।

তবে, জামায়াতের বিরুদ্ধে অতীতের যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এবং বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তাদের অবস্থান নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। অনেকেই মনে করেন, জামায়াতের অতীত কর্মকাণ্ড এবং তাদের আদর্শিক অবস্থান দেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এ কারণে, তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিয়ে সমাজের বিভিন্ন স্তরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।

সর্বোপরি, জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে দেশি-বিদেশি সমর্থনের উপস্থিতি দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটি প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য নতুন কৌশল নির্ধারণে প্রভাব ফেলতে পারে। তবে, দেশের স্থিতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বজায় রাখতে সকল রাজনৈতিক দলের মধ্যে পারস্পরিক সম্মান ও সহযোগিতা অপরিহার্য।

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - বানিজ্য ও অর্থনীতি