‘আ.লীগকে নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি’
বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগ (আ.লীগ) এবং শহীদদের ত্যাগ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা সম্প্রতি সামনে এসেছে। জাতীয় নাগরিক পার্টির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন মন্তব্য করেছেন যে, জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের ত্যাগের মূল্যায়ন এবং তাদের আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা উচিত।
এদিকে, আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে তাদের মনোনয়ন বাতিলের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে দলটি। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী ও বিতর্কিতদের দলীয় মনোনয়ন না দেওয়ার নীতিতে তারা স্থিতিশীল রয়েছে।
এছাড়াও, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বেঞ্চে আওয়ামী লীগকে রাজনীতির বাইরে রাখতে রিট আবেদন করা হয়েছে। এই রিটের মাধ্যমে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
এই ঘটনাগুলো বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশে নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। শহীদদের ত্যাগের মূল্যায়ন, রাজনৈতিক দলের নীতি ও কর্মকাণ্ড নিয়ে চলমান আলোচনা দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার স্বাস্থ্যের প্রতিফলন। নাগরিক সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।