গাজা থেকে কোনো ফিলিস্তিনিকে তাড়ানো হবে না : ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন যে, গাজা উপত্যকা থেকে কোনো ফিলিস্তিনিকে তাড়ানো হবে না। এই মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি পূর্বে প্রকাশিত গাজা দখল এবং সেখানকার ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের প্রস্তাব থেকে সরে এসেছেন।
ট্রাম্পের পূর্ববর্তী প্রস্তাব ছিল গাজা উপত্যকায় সামরিক হস্তক্ষেপ এবং সেখানকার ফিলিস্তিনিদের মিসর ও জর্ডানে পুনর্বাসন করা। এই প্রস্তাবের পর মিসর ও জর্ডানসহ আরব দেশগুলো তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায়। জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ এই প্রস্তাব দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেন এবং ফিলিস্তিনিদের গাজা ও পশ্চিম তীর থেকে উচ্ছেদের বিরুদ্ধে জর্ডানের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন।
ওয়াশিংটনে আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাইকেল মার্টিনের সঙ্গে বৈঠকের আগে এক যৌথ ব্রিফিংয়ে ট্রাম্প বলেন, “(গাজা থেকে) কোনো ফিলিস্তিনিকে কেউ বিতাড়িত করছে না এবং এমন পরিকল্পনা নেই।”
ট্রাম্পের এই অবস্থান পরিবর্তনকে স্বাগত জানিয়েছে বিভিন্ন পক্ষ। হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এটি গাজার জনগণের অধিকার ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ। তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানান যাতে তারা ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে চলতে বাধ্য করে।
এদিকে, মিসরও ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। মিসরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, গাজার জনগণকে উচ্ছেদ না করার এই সিদ্ধান্ত গাজার মানবিক পরিস্থিতির অবনতিকে প্রতিরোধ করবে এবং ফিলিস্তিন সমস্যার ন্যায্য ও স্থায়ী সমাধানের জন্য সহায়ক হবে।
ট্রাম্প প্রশাসন হামাসের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা শুরু করেছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন। কাতারে অনুষ্ঠিত এই আলোচনায় গাজা যুদ্ধের সমাপ্তি এবং হামাসের হাতে আটক এক মার্কিন-ইসরায়েলি দ্বৈত নাগরিকের মুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
ট্রাম্পের গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ না করার সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত হয়েছে। এই পদক্ষেপ গাজার মানবিক পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং ফিলিস্তিন সমস্যার স্থায়ী সমাধানের পথে একটি ইতিবাচক অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।