হুমকি উপেক্ষা করেই পরমাণু কর্মসূচি চালিয়ে যাবে ইরান
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করেই পরমাণু কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইরান। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই জানিয়েছেন, তাদের পরমাণু কর্মসূচি আন্তর্জাতিক আইনসম্মত এবং এটিকে কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত করা যাবে না।
ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে, বিশেষ করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাম্প্রতিক হুঁশিয়ারির পর। তিনি বলেন, “ইরানকে কখনোই পরমাণু শক্তিধর দেশ হতে দেওয়া হবে না।” নেতানিয়াহুর ভাষ্য, গত ১৬ মাসে ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।
এই প্রেক্ষাপটে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের যে কোনো হুমকি “আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন” এবং এটি “গ্রহণযোগ্য নয়।”
গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান বর্তমানে ৬০% বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ করছে, যা পরমাণু অস্ত্র তৈরির জন্য যথেষ্ট না হলেও গভীর সন্দেহের জন্ম দিয়েছে।
বিশ্ব বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, ইসরায়েল ২০২৫ সালের মধ্যে ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালাতে পারে। এতে মধ্যপ্রাচ্যে আরও অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়বে এবং বৈশ্বিক নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে।
ইরান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, তাদের পরমাণু কর্মসূচি চলবে এবং তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে এর বৈধতা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালিয়ে যাবে। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল একে মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি হিসেবে দেখছে।
এই অস্থিরতা আগামী দিনগুলোতে আরও বড় সংকটের দিকে যেতে পারে, যার প্রভাব শুধু মধ্যপ্রাচ্যে নয়, পুরো বিশ্বের নিরাপত্তায় পড়বে।