বাণিজ্যযুদ্ধ এড়াতে, সম্পর্ক জোরদারে মোদি-ট্রাম্প বৈঠক
অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়ন ও বিভিন্ন দেশের ওপর শুল্কারোপের অঙ্গীকার নিয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইতোমধ্যেই কানাডা, মেক্সিকো ও চীনের পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। যদিও কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর এই শুল্ক এক মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও দক্ষিণ আফ্রিকার ওপরও শুল্কারোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প।
তার দ্বিতীয় মেয়াদে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নিয়েও ব্যাপক আলোচনা চলছে। প্রথম মেয়াদে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক ছিল চমৎকার। তবে এবার অভিবাসন ও শুল্কারোপের ঘোষণার ফলে ভারতের ওপরও প্রভাব পড়েছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ভারত ইতোমধ্যে ১৮ হাজার অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীকে ফেরত নিতে সম্মত হয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রও তাদের দেশে ফেরত পাঠানো শুরু করেছে। অন্যদিকে, বাণিজ্যযুদ্ধ এড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন পণ্যের ওপর শুল্ক কমিয়েছে ভারত।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধ এড়াতে ভারত অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। ভারতীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সম্পর্ক আরও জোরদারে আগ্রহী।
হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আগামী সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সামরিক বিমানে করে অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর পর এই আমন্ত্রণ জানানো হয়।
সূত্র বলছে, ওয়াশিংটন ডিসিতে ‘দুই বন্ধুর’ বৈঠক হতে পারে। মোদি ফ্রান্স সফর শেষ করে ১২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছাবেন এবং ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সেখানে থাকবেন। এ সময় তিনি আমেরিকান কর্পোরেট নেতা ও ভারতীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন।
গত সপ্তাহে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, “মোদির সঙ্গে আমার দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। তিনি সম্ভবত ফেব্রুয়ারিতেই হোয়াইট হাউসে আসছেন। আমাদের ভারতের সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে।”