রবিবার, ২রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫| রাত ৮:৪৫

ট্রাম্প-মোদি ফোনালাপঃ ভারতকে আরও অস্ত্র কেনার আহ্বান ট্রাম্পের

প্রতিবেদক
staffreporter
জানুয়ারি ২৯, ২০২৫ ৫:২৯ অপরাহ্ণ
ট্রাম্প-মোদি ফোনালাপ - ভারতকে আরও অস্ত্র কেনার আহ্বান ট্রাম্পের

ট্রাম্প-মোদি ফোনালাপঃ ভারতকে আরও অস্ত্র কেনার আহ্বান ট্রাম্পের

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতকে আরও সামরিক সরঞ্জাম কেনার আহ্বান জানিয়েছেন এবং দুই দেশের মধ্যে “সত্যানিষ্ঠ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক” গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ফোনালাপের কথা উল্লেখ করেন এবং আগামী মাসে মোদির হোয়াইট হাউস সফর নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান।

সোমবার এয়ার ফোর্স ওয়ানে থাকা অবস্থায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, “আজ সকালে আমি প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেছি। তিনি সম্ভবত ফেব্রুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে আসছেন। আমাদের ভারতীয়দের সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে।” তিনি আরও বলেন, তাদের আলোচনায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে, যার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও প্রতিরক্ষা চুক্তি অন্যতম।

তবে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে মোদি-ট্রাম্প ফোনালাপের বিষয়ে যে প্রেস রিলিজ প্রকাশিত হয়েছে, তাতে মোদির সম্ভাব্য ওয়াশিংটন সফর নিয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। অন্যদিকে, হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আলোচনায় মোদির সফর নিয়ে কথা হয়েছে।

ট্রাম্পের বিবৃতিতে বিশেষভাবে ভারতের সামরিক সরঞ্জাম ক্রয়ের বিষয়টি উঠে আসে। তিনি ভারতের প্রতি মার্কিন প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আরও বেশি কেনার আহ্বান জানান এবং সতর্ক করেন যে, আমেরিকা বিদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করবে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রাম্পের এই আহ্বান মূলত ভারতকে রাশিয়ার সামরিক প্রযুক্তির ওপর নির্ভরতা কমানোর জন্য একটি কৌশলগত চাপ। দীর্ঘদিন ধরেই ভারত তার প্রতিরক্ষা খাতে রাশিয়ান অস্ত্রের ওপর নির্ভরশীল, যা ওয়াশিংটনের জন্য উদ্বেগের বিষয়। মার্কিন প্রশাসন চাইছে, ভারত যেন সামরিক সরঞ্জামের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রকেই প্রধান সরবরাহকারী হিসেবে বিবেচনা করে।

এদিকে, ভারত ও আমেরিকার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য নিয়ে বেশ কিছু মতপার্থক্য রয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের ওপর শুল্ক আরোপ করার হুমকি দিয়েছে, যা দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্কে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। তবে মোদির আসন্ন যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে আলোচনা সত্য হলে, এতে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের আরও উন্নতি হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - সর্বশেষ