যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজায় ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত, নেতানিয়াহুর ‘অস্থায়ী শান্তি’র হুঁশিয়ারি
ফিলিস্তিনের গাজায় দীর্ঘ ১৫ মাসের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর বহুল প্রতীক্ষিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হতে যাচ্ছে। রোববার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টা থেকে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে বলে নিশ্চিত করেছে কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাকারী দল। তবে এই শান্তির মাঝে যেনো নতুন করে উত্তেজনার স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে পড়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বক্তব্যে।
তিনি এই যুদ্ধবিরতিকে ‘অস্থায়ী’ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েল গাজার ওপর আবারও হামলা চালানোর অধিকার সংরক্ষণ করে। শনিবার টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে নেতানিয়াহু সরাসরি হুঁশিয়ারি দেন, যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা ব্যর্থ হলে পুনরায় সংঘাত শুরু হবে।
নেতানিয়াহুর বক্তব্যের পাশাপাশি গাজায় যুদ্ধবিরতির মধ্যেও ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে। হামাসের দাবি অনুযায়ী, এসব হামলায় ইতোমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ১২০ জনের বেশি নিরীহ মানুষ।
কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে ঘোষিত এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি তিনটি ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে। প্রথম ধাপে ৭৩৭ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এরই মধ্যে কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান বিন জসিম আল-থানি জানিয়েছেন, প্রথম দফায় ৩৩ জন ফিলিস্তিনি জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস।
দ্বিতীয় ধাপের আলোচনায় থাকছে বাকি বন্দিদের মুক্তি ও ইসরায়েলি সেনাদের গাজা থেকে সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের বিষয়টি। তৃতীয় ও শেষ ধাপে গাজার পুনর্গঠনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি এক্সে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, “এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি মধ্যস্থতাকারী ও উভয়পক্ষের সমন্বয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার একটি বড় পদক্ষেপ। গাজায় রোববার সকাল থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে।”
যুদ্ধবিরতির বিষয়ে নেতানিয়াহু তার কঠোর অবস্থান তুলে ধরেছেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, হামাস যদি মুক্তি দেওয়ার জিম্মিদের তালিকা সঠিকভাবে প্রদান না করে, তবে ইসরায়েল চুক্তি বাস্তবায়ন করবে না। এদিকে, হামাসের পক্ষ থেকে দেওয়া তালিকা নিয়ে এখনও নিশ্চিত নয় ইসরায়েল।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ইতোমধ্যে গাজার বিভিন্ন সীমান্তে তিনটি অভ্যর্থনা কেন্দ্র স্থাপন করেছে। সেখানেই মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের গ্রহণ করা হবে বলে জানা গেছে। তবে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের আগে থেকেই ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলা অব্যাহত রয়েছে, যা চুক্তি বাস্তবায়নের পথে নতুন সংকট তৈরি করতে পারে।
যুদ্ধবিরতির খবরে কিছুটা স্বস্তি ফিরে পেলেও ফিলিস্তিনিরা এখনও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। নেতানিয়াহুর বক্তব্য এবং যুদ্ধবিরতির মাঝেই ইসরায়েলের চলমান হামলা পরিস্থিতিকে আরও অনিশ্চিত করে তুলছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থনে ইসরায়েল যদি যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে, তবে গাজায় আরও এক দফা রক্তক্ষয়ী সংঘাতের ঝুঁকি থেকে যায়।
ফিলিস্তিনি জনগণ শান্তি চায়, তবে এই যুদ্ধবিরতির পরের পদক্ষেপগুলো যদি সঠিকভাবে বাস্তবায়িত না হয়, তাহলে এই অস্থায়ী শান্তি শুধুই হবে আরও বড় সংঘাতের পূর্বাভাস।যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজায় ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত, নেতানিয়াহুর ‘অস্থায়ী শান্তি’র হুঁশিয়ারি
ফিলিস্তিনের গাজায় দীর্ঘ ১৫ মাসের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর বহুল প্রতীক্ষিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হতে যাচ্ছে। রোববার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টা থেকে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে বলে নিশ্চিত করেছে কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাকারী দল। তবে এই শান্তির মাঝে যেনো নতুন করে উত্তেজনার স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে পড়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বক্তব্যে।
তিনি এই যুদ্ধবিরতিকে ‘অস্থায়ী’ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েল গাজার ওপর আবারও হামলা চালানোর অধিকার সংরক্ষণ করে। শনিবার টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে নেতানিয়াহু সরাসরি হুঁশিয়ারি দেন, যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা ব্যর্থ হলে পুনরায় সংঘাত শুরু হবে।
নেতানিয়াহুর বক্তব্যের পাশাপাশি গাজায় যুদ্ধবিরতির মধ্যেও ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে। হামাসের দাবি অনুযায়ী, এসব হামলায় ইতোমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ১২০ জনের বেশি নিরীহ মানুষ।
কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে ঘোষিত এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি তিনটি ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে। প্রথম ধাপে ৭৩৭ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এরই মধ্যে কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান বিন জসিম আল-থানি জানিয়েছেন, প্রথম দফায় ৩৩ জন ফিলিস্তিনি জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস।
দ্বিতীয় ধাপের আলোচনায় থাকছে বাকি বন্দিদের মুক্তি ও ইসরায়েলি সেনাদের গাজা থেকে সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের বিষয়টি। তৃতীয় ও শেষ ধাপে গাজার পুনর্গঠনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি এক্সে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, “এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি মধ্যস্থতাকারী ও উভয়পক্ষের সমন্বয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার একটি বড় পদক্ষেপ। গাজায় রোববার সকাল থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে।”
যুদ্ধবিরতির বিষয়ে নেতানিয়াহু তার কঠোর অবস্থান তুলে ধরেছেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, হামাস যদি মুক্তি দেওয়ার জিম্মিদের তালিকা সঠিকভাবে প্রদান না করে, তবে ইসরায়েল চুক্তি বাস্তবায়ন করবে না। এদিকে, হামাসের পক্ষ থেকে দেওয়া তালিকা নিয়ে এখনও নিশ্চিত নয় ইসরায়েল।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ইতোমধ্যে গাজার বিভিন্ন সীমান্তে তিনটি অভ্যর্থনা কেন্দ্র স্থাপন করেছে। সেখানেই মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের গ্রহণ করা হবে বলে জানা গেছে। তবে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের আগে থেকেই ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলা অব্যাহত রয়েছে, যা চুক্তি বাস্তবায়নের পথে নতুন সংকট তৈরি করতে পারে।
যুদ্ধবিরতির খবরে কিছুটা স্বস্তি ফিরে পেলেও ফিলিস্তিনিরা এখনও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। নেতানিয়াহুর বক্তব্য এবং যুদ্ধবিরতির মাঝেই ইসরায়েলের চলমান হামলা পরিস্থিতিকে আরও অনিশ্চিত করে তুলছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থনে ইসরায়েল যদি যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে, তবে গাজায় আরও এক দফা রক্তক্ষয়ী সংঘাতের ঝুঁকি থেকে যায়।
ফিলিস্তিনি জনগণ শান্তি চায়, তবে এই যুদ্ধবিরতির পরের পদক্ষেপগুলো যদি সঠিকভাবে বাস্তবায়িত না হয়, তাহলে এই অস্থায়ী শান্তি শুধুই হবে আরও বড় সংঘাতের পূর্বাভাস।