রবিবার, ২রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫| রাত ৮:৫৭

প্রতিবাদ করায় সাংবাদিক ও তার বাবাকে কৃষক দল নেতার মারধর

প্রতিবেদক
staffreporter
জানুয়ারি ১৩, ২০২৫ ৭:১২ অপরাহ্ণ
প্রতিবাদ করায় সাংবাদিক ও তার বাবাকে কৃষক দল নেতার মারধর

প্রতিবাদ করায় সাংবাদিক ও তার বাবাকে কৃষক দল নেতার মারধর

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার কুয়াকাটায় বাদাম বিক্রেতাকে গালিগালাজের প্রতিবাদ করায় দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার কুয়াকাটা প্রতিনিধি কেএম বাচ্চু ও তার বাবা ইউনুস খলিফাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ হামলার নেতৃত্বে ছিলেন কুয়াকাটা পৌর কৃষক দলের সভাপতি আলী হোসেন খন্দকার ও পৌর শ্রমিক দলের সহসভাপতি জসিম মৃধা।

রোববার (১২ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে কুয়াকাটা চৌরাস্তা এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত সাংবাদিক কেএম বাচ্চু ও তার বাবাকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাংবাদিক কেএম বাচ্চুর বাবা ইউনুস খলিফা এক বাদাম বিক্রেতার সঙ্গে আলাপ করছিলেন। এ সময় বাদাম বিক্রেতাকে গালিগালাজ করতে থাকেন আলী হোসেন। ইউনুস খলিফা এর প্রতিবাদ করলে তাকেও গালিগালাজ করা হয়।

এ খবর শুনে কেএম বাচ্চু ঘটনাস্থলে গেলে আলী হোসেন ও জসিম মৃধার নেতৃত্বে প্রায় ২০-২৫ জন তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। বাবাকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে ইউনুস খলিফাকেও পেটানো হয়। স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

প্রত্যক্ষদর্শী মো. রাসেল মিয়া বলেন, “আলী হোসেনের নেতৃত্বে সাংবাদিক বাচ্চুকে বেধড়ক মারধর করা হয়। বাধা দিতে গেলে আমাকেও আঘাত করা হয়।”

কুয়াকাটা পৌর কৃষক দলের সভাপতি আলী হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

অন্যদিকে, শ্রমিক দলের সহসভাপতি জসিম মৃধা দাবি করেন, “আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেছি, বাচ্চুকে মারধর করা হচ্ছে। তাদের থামানোর চেষ্টা করলে বাচ্চু নিজেই আমার ওপর আক্রমণ চালায়। বর্তমানে আমি চিকিৎসা নিচ্ছি।”

মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, “পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এই হামলার ঘটনায় স্থানীয় পর্যায়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দ্রুত শাস্তি দাবি করছেন।

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - সর্বশেষ