বাংলাদেশের ব্যয়যোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ ১৫ বিলিয়ন ডলার
দেশের ব্যয়যোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ বর্তমানে ১৫ বিলিয়ন ডলার রয়েছে বলে জানা গেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সূত্র থেকে। প্রতি মাসে ৫ বিলিয়ন ডলার হিসেবে এই রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকা উচিত।
এদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুসারে, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ২৬ দশমিক ০৯ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর বিপিএম-৬ গণনার মান অনুযায়ী, রিজার্ভ এখন ২১ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার।
নিট রিজার্ভ গণনা আইএমএফের বিপিএম-৬ পরিমাপ অনুসারে করা হয়, যেখানে মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বাদ দেওয়া হয়। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের আরেকটি হিসাব রয়েছে, যা হলো ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ। এই হিসাবটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয় না, তবে এটি আইএমএফের এসডিআর খাতে থাকা ডলার, ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং এবং আকুর বিল বাদ দিয়ে হিসাব করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা জানিয়েছেন, ‘বিগত যেকোনও সময়ের চেয়ে বর্তমানে রেমিট্যান্স প্রবাহ ভালো রয়েছে। এছাড়া বিদেশি অনুদানও যোগ হয়েছে, যার ফলে রিজার্ভ বেড়েছে।’
ডিসেম্বর মাসের প্রথম ২৮ দিনে বৈধ পথে ২৪২ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা দেশীয় মুদ্রায় ২৯ হাজার ৪০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে)। দৈনিক গড়ে ৮ কোটি ৬৪ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বাজারের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল ছিল এবং ডলারের দাম ১২০ টাকায় ছিল দীর্ঘদিন ধরে। তবে গত সপ্তাহে ডলারের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দাম কিছুটা বেড়ে যায়, যার ফলে রেমিট্যান্স প্রবাহও বৃদ্ধি পেয়েছে এবং রিজার্ভ বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।