সিরিয়ায় চার বছরের আগে নির্বাচন নয়, বললেন বিদ্রোহী নেতা
সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের শাসনের পতনের পর ক্ষমতা কার্যত বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) হাতে। গোষ্ঠীটির প্রধান আহমেদ আল-শারা সম্প্রতি জানিয়েছেন, দেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন আয়োজনে অন্তত চার বছর সময় লাগতে পারে। নতুন প্রশাসন ধীরে ধীরে গঠনমূলক পরিবর্তন আনতে চায় এবং সে জন্য সময় প্রয়োজন।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আল-আরাবিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শারা বলেন, নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে তিন বছরেরও বেশি সময় লাগতে পারে। তিনি আরও জানান, সংবিধান প্রণয়নের পাশাপাশি সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা আনতেও অন্তত এক বছর সময় লাগবে। ফলে নিকট ভবিষ্যতে সিরিয়ায় নির্বাচন আয়োজন সম্ভব নয়।
আসাদের পতনের পর এই প্রথমবারের মতো সম্ভাব্য নির্বাচনের সময় নিয়ে কথা বললেন এইচটিএস নেতা। তিনি উল্লেখ করেন, একটি জাতীয় সংলাপের মাধ্যমে বিদ্রোহী গোষ্ঠী এইচটিএসকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হবে। এরপর একটি অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন দেশ পরিচালনা করবে।
সিরিয়ার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক প্রসঙ্গে আহমেদ আল-শারা জানান, রাশিয়ার সঙ্গে সিরিয়ার কৌশলগত স্বার্থ বিদ্যমান। রাশিয়া সিরিয়ার মাটি ব্যবহার করে সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করেছে এবং দীর্ঘ গৃহযুদ্ধ চলাকালীন বাশার সরকারকে মদত দিয়েছে। বাশারকে রাশিয়াই আশ্রয় দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে শারা বলেন, তিনি আশা করেন যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে। ইতোমধ্যে মার্কিন এক শীর্ষ কূটনীতিক জানিয়েছেন, আহমেদ আল-শারাকে ধরতে এক কোটি ডলারের পুরস্কার ঘোষণাও বাতিল করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আসাদ পরিবারের পাঁচ দশকের শাসনের অবসান ঘটে গত ৮ ডিসেম্বর। বিদ্রোহীরা রাজধানী দামেস্ক দখলের পর বাশার আল-আসাদ রাশিয়ায় পালিয়ে যান। এর মাধ্যমে ১৩ বছর ধরে চলা সিরিয়ার ভয়াবহ গৃহযুদ্ধেরও অবসান ঘটে। শারা বলেন, এই দীর্ঘ যুদ্ধের ক্ষত মুছে ফেলে সিরিয়ায় একটি স্থিতিশীল প্রশাসন গড়ে তোলাই এখন নতুন শাসকদের প্রধান লক্ষ্য।