কিছুটা সংস্কার না করে নির্বাচন করলে ছাত্র-জনতার সঙ্গে অন্যায় হবে
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, কিছুটা সংস্কার না করেই যদি নির্বাচন করা হয়, তবে তা ছাত্র-জনতার সঙ্গে অন্যায় হবে। তিনি শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে এক জাতীয় সংলাপে বক্তব্য রাখার সময় এ মন্তব্য করেন।
এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে প্রায় দুই হাজার মানুষ শহীদ হয়েছেন এবং আন্দোলনে আহত ২ হাজারের বেশি মানুষ এখনো হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তিনি এই আন্দোলনকে পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম উল্লেখযোগ্য অভ্যুত্থান হিসেবে বর্ণনা করেন।
২০০৭ সালের সংস্কারের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি জানান, সেই সময়ে নেয়া পদক্ষেপগুলোর বেশিরভাগই পরবর্তী রাজনৈতিক সরকার বাস্তবায়ন করেনি। বর্তমান বাংলাদেশকে ‘সেকেন্ড রিপাবলিক অব বাংলাদেশ’ হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, “এখন সংস্কার না করলে তা আর কখনো হবে না।”
সংস্কারের জন্য ন্যূনতম সময় দিতে হবে এবং সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে—এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকার গঠন হলেই সব সমস্যার সমাধান হবে না। তিনি দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদের প্রয়োজনীয়তা এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে কথা বলেন, এবং রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য আইন প্রণয়ন প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন।
এছাড়া, তিনি নির্বাচনে চাঁদাবাজির ব্যাপারেও মন্তব্য করেন, এবং বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে। প্রার্থীকে নির্বাচনের আগে দলের ন্যূনতম সদস্য হতে হবে এবং অন্তত তিন বছর দলের পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে। তিনি রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের আর্থিক প্রতিবেদন ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে এবং প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে আহ্বান জানান।
ব্রিগেডিয়ার এম সাখাওয়াত হোসেন তরুণ প্রজন্মের রাজনীতিতে অংশগ্রহণের গুরুত্বও তুলে ধরেন এবং বলেন, তরুণরা রাজনীতি করার অধিকার রাখেন, এবং তাদের মাধ্যমে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন হলে তা দেশের জন্য ইতিবাচক হবে।