শেখ মুজিবসহ অনেক নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল, নতুন পরিচয় ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’
জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদসহ ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী চার শতাধিক এমএনএ ও এমপিএরও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি বাতিল করে তাঁদের ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে নতুনভাবে শ্রেণিবিন্যাস করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগ থেকে ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) সংশোধন অধ্যাদেশ-২০২৫’ জারি করা হয়। এ অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের সদস্যসহ আরও চার শ্রেণির ব্যক্তিকে ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে বিবেচনা করা হবে, তবে তাঁরা আর ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে গণ্য হবেন না।
এই চার শ্রেণির মধ্যে রয়েছে:
১. বিদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠনে সক্রিয় বাংলাদেশি পেশাজীবীরা।
২. মুজিবনগর সরকারের অধীন কর্মকর্তা-কর্মচারী, দূত ও সহকারীরা।
৩. স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী, কলাকুশলী এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে দেশে ও বিদেশে কাজ করা সাংবাদিকরা।
৪. স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস্যরা।
মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের রাজনীতিবিদদের বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল নিয়ে পূর্বে আলোচনা শুরু হয়। চলতি বছরের ১৫ মে উপদেষ্টা পরিষদ এই সংক্রান্ত একটি খসড়া তালিকা অনুমোদন করে, যা পরবর্তীতে আইন মন্ত্রণালয় পর্যালোচনার পর অনুমোদন দেয়। সর্বশেষ রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হলো।
এই পরিবর্তন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও মুক্তিযোদ্ধা সংজ্ঞা পুনর্মূল্যায়নের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে এবং এ নিয়ে ইতিমধ্যে বিভিন্ন মহলে বিতর্ক ও প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।