সুন্দরবন নৌ-সীমান্তে বাড়ছে নজরদারি, নতুন সাতটি ভাসমান আউটপোস্ট স্থাপনের সিদ্ধান্ত
বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি জোরদার করেছে ভারত। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত এলাকাগুলোতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি বিএসএফের অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সম্প্রতি ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে সুন্দরবনের নৌ-সীমান্তেও অনুপ্রবেশ রোধে নদী ও সমুদ্রপথে স্পিডবোটের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে এবার সুন্দরবনের উপকূলবর্তী এলাকায় নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ নতুন করে সাতটি ভাসমান বর্ডার আউটপোস্ট (সীমান্ত ফাঁড়ি) স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ইতোমধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছে বলে বিএসএফ সূত্রে জানা গেছে।
ফাঁড়ি স্থাপনের সম্ভাব্য স্থানগুলো ইতোমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে। রাজ্য সরকার এসব এলাকায় বিএসএফকে জমি প্রদানের সিদ্ধান্তও নিয়েছে। নতুন ফাঁড়িগুলো নির্মিত হলে সুন্দরবনের দুর্গম বনাঞ্চলে এক ফাঁড়ি থেকে আরেক ফাঁড়ির দূরত্ব কমে আসবে, যা নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি আনবে।
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গে ইন্দো-বাংলাদেশ উপকূলবর্তী সীমান্ত এলাকা প্রায় ১৫৭ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত, যার বড় একটি অংশ সুন্দরবনের বিভিন্ন নৌ-সীমান্ত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় উপকূলীয় থানাগুলোর পাশাপাশি নদী ও সমুদ্রপথে ভারত ও বাংলাদেশের জাহাজ-নৌকায় নজর রাখে বিএসএফ।
গোয়েন্দা সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের পর কিছু ভারতবিরোধী চক্র সক্রিয় হয়েছে। এর ফলে সীমান্ত এলাকায় অনুপ্রবেশ ও চোরাচালানের আশঙ্কায় নিরাপত্তা জোরদার করতে হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নতুন ভাসমান সীমান্ত ফাঁড়িগুলো সীমান্তরক্ষা কার্যক্রমকে আরও কার্যকর করে তুলবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।