রাখাইনে ‘মানবিক করিডোর’ উদ্যোগ নিয়ে হেফাজতে ইসলামের উদ্বেগ
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে তথাকথিত ‘মানবিক করিডোর’ গঠনে বাংলাদেশের সম্ভাব্য অংশগ্রহণ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সংগঠনের আমির আল্লামা শাহ্ মুহিব্বুল্লাহ্ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এই উদ্যোগকে মানবিক সহায়তার মোড়কে উপস্থাপন করা হলেও এর অন্তর্নিহিত লক্ষ্য অনেক বেশি জটিল ও আশঙ্কাজনক।
শুক্রবার দেওয়া বিবৃতিতে তারা বলেন, এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে আরাকান আর্মির মতো সন্ত্রাসী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলো উপকৃত হবে, যারা অতীতে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর সহিংসতা চালিয়েছে। তাদের মতে, এই প্রক্রিয়া কেবল রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তার জন্য নয়, বরং বাংলাদেশের জাতীয় সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্যও একটি বড় হুমকি সৃষ্টি করবে।
নেতৃদ্বয় সরাসরি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস-এর প্রতি প্রশ্ন রেখেছেন। তাঁরা জানতে চেয়েছেন, তিনি কি এই প্রস্তাবিত করিডোর নিয়ে কোনো আন্তর্জাতিক অংশীদার বা সংস্থার সঙ্গে সরকারি বা বেসরকারি পর্যায়ে আলোচনা করেছেন? যদি করে থাকেন, তাহলে সেটি জাতির সামনে স্পষ্টভাবে উপস্থাপন করা উচিত।
হেফাজতে ইসলাম তাদের বিবৃতিতে আরও জানায়, জাতীয় পরামর্শ, রাজনৈতিক ঐকমত্য ও সংসদীয় আলোচনাবিহীন কোনো সিদ্ধান্ত—বিশেষ করে যা দেশের নিরাপত্তা, ধর্মীয় সম্প্রীতি এবং ভৌগলিক অখণ্ডতাকে হুমকির মুখে ফেলে—তারা তা কোনোভাবেই গ্রহণ করবে না।
ড. ইউনূসকে উদ্দেশ করে হেফাজত নেতারা বলেন, তিনি যেন তার ভূমিকা ও অবস্থান খোলাখুলিভাবে ব্যাখ্যা করেন এবং দেশের জনগণের ন্যায্য উদ্বেগগুলোর যথাযথ জবাব দেন।