বুধবার, ১৪ই মে, ২০২৫| রাত ১০:২২

৮৭ ঘণ্টার সংঘাত: আকাশ থেকে অর্থনীতিতে ছড়িয়ে পড়া ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের ভয়াবহতা

প্রতিবেদক
staffreporter
মে ১১, ২০২৫ ৬:১২ অপরাহ্ণ
৮৭ ঘণ্টার সংঘাত: আকাশ থেকে অর্থনীতিতে ছড়িয়ে পড়া ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের ভয়াবহতা

৮৭ ঘণ্টার সংঘাত: আকাশ থেকে অর্থনীতিতে ছড়িয়ে পড়া ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের ভয়াবহতা

গত ৭ মে রাত ১টা ৫ মিনিটে ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একটি সামরিক অভিযান শুরু করে ভারতীয় বিমান বাহিনী। মাত্র ২৩ মিনিটের এই হামলায় পাকিস্তানের ভেতরে ৯টি বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়। এতে ব্যবহার করা হয় দাসো নির্মিত রাফাল যুদ্ধবিমান, যা স্ক্যাল্প ইজি ক্রুজ মিসাইল এবং এএএসএম হ্যামার বোমা দিয়ে সজ্জিত ছিল। আক্রমণের সময় পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রতিক্রিয়া যাচাই করতে ভারতের পক্ষে ইসরায়েলি প্রযুক্তির হারোপ ও স্কাইস্ট্র্যাইকার ড্রোন মোতায়েন করা হয়।

পাল্টা জবাবে পাকিস্তান ৭ থেকে ১০ মে পর্যন্ত একটি পূর্ণাঙ্গ সামরিক প্রতিক্রিয়া জানায়, যাতে বিমান বাহিনী, সেনাবাহিনী ও ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিট সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়। পাকিস্তানের মূল আক্রমণাত্মক প্ল্যাটফর্ম ছিল চীনা নির্মিত জে-১০সি যুদ্ধবিমান, যা দূর-পাল্লার পিএল-১৫ মিসাইল বহন করছিল। একইসঙ্গে তারা কোরাল ইলেকট্রনিক ওয়্যারফেয়ার সিস্টেম ব্যবহার করে শত্রু রাডার ও যোগাযোগ ব্যাহত করে।

এই সংঘাতের সবচেয়ে নজরকাড়া ঘটনা ঘটে যখন পাকিস্তান মাত্র ২৫ মিনিটের মধ্যে ভারতীয় বিমান বাহিনীর তিনটি রাফাল যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করে। এটি বাস্তব যুদ্ধে প্রথমবারের মতো ৪.৫ প্রজন্মের রাফাল ভূপাতিত হওয়ার নজির। এছাড়া পাকিস্তান দাবি করেছে, একই সময় তারা ভারতের আরও ১২টি ড্রোন ধ্বংস করেছে, যেগুলো মোকাবিলায় অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট গান, শর্ট-রেঞ্জ মিসাইল ও ইলেকট্রনিক জ্যামিং ব্যবহার করা হয়।

এই ৮৭ ঘণ্টার সংঘাতে শুধু আকাশ নয়, অর্থনৈতিক মাটিও কেঁপে ওঠে। ভারতের পুঁজিবাজারে ৮২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ক্ষতি হয়। বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় প্রতিদিন গড়ে ৮ মিলিয়ন ডলার লোকসান গুণতে হয়। আইপিএল স্থগিত হওয়ায় সম্প্রচার ও বিজ্ঞাপন খাতে আরও ৫০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়। সামরিক খাতে খরচ হয় ১০০ মিলিয়ন ডলার এবং হারানো রাফাল বিমানের ক্ষতি দাঁড়ায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার। সরবরাহ চেইনের বিপর্যয়ে ক্ষতি হয় আরও ২ বিলিয়ন ডলার। সব মিলিয়ে ভারতের মোট ক্ষতি দাঁড়ায় প্রায় ৮৩ বিলিয়ন ডলার।

অন্যদিকে, পাকিস্তানের কেএসই-১০০ সূচক ৪.১ শতাংশ কমে গিয়ে ২.৫ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি করে। পিএসএল স্থগিত হওয়ায় ১০ মিলিয়ন ডলারের লোকসান হয়। বাণিজ্যিক বিমান খাতে ক্ষতি ২০ মিলিয়ন ডলার এবং সামরিক ব্যয় ৩০০ মিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। সবমিলিয়ে পাকিস্তানের ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার।

এই যুদ্ধ প্রমাণ করেছে, আধুনিক সংঘাত শুধু অস্ত্রের শক্তি দিয়ে নয়, অর্থনীতির মেরুদণ্ড ভেঙেও দেশকে দুর্বল করে তোলে। প্রতি ঘণ্টায় গড়ে ১০০ কোটি ডলারের ক্ষতির এই যুদ্ধ বিশ্ববাসীর কাছে এক নির্মম বাস্তবতা তুলে ধরে — আধুনিক যুদ্ধের খরচ শুধু বোমা নয়, বরং একটি দেশের ভবিষ্যতের দামে হিসাব করা হয়।

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - সর্বশেষ