অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় পদক্ষেপ: স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করতে যাচ্ছে সরকার
দেশের শিল্প ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে টেকসই করতে স্থলভিত্তিক এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) টার্মিনাল স্থাপনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের গ্যাস-সংকট নিরসনের পাশাপাশি কারখানাগুলোর উৎপাদন সচল রাখা এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধির পরিবেশ তৈরি করাই সরকারের মূল লক্ষ্য।
এই বিষযঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, অনেক উদ্যোক্তা গ্যাসের অভাবে শিল্প-কারখানা স্থাপন করতে পারছেন না। তাদের এই সমস্যা সমাধানেই সরকার যত দ্রুত সম্ভব একটি স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করতে চায়, যাতে বিদেশ থেকে পর্যাপ্ত গ্যাস আমদানি করে দেশব্যাপী সরবরাহ নিশ্চিত করা যায়।
দোহা সফর: গ্যাস সরবরাহ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা
বৃহস্পতিবার কাতারের রাজধানী দোহায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শফিকুল আলম বল“প্রধান উপদেষ্টার দোহা সফরের সময় কাতার এনার্জির সঙ্গে আমাদের একটি পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, এই আলোচনা থেকে খুব শিগগিরই বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হওয়া সম্ভব হতিনি আরও জানান, এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করলে তা দেশের শিল্পখাতে একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে আসবে। এতে করে শুধুমাত্র গ্যাস সংকটের সমাধানই হবে না, বরং নতুন করে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের দ্বারও খুলে যাবে।
সফরের সাফল্যে আশাবাদী সরকার
প্রধান উপদেষ্টার দোহা সফর প্রসঙ্গে প্রেস সচিব বলেন“এই সফরটি অত্যন্ত সফল এবং ফলপ্রসূ হয়েছে। আমি নিঃসন্দেহে বলবো এটি এখন পর্যন্ত আমাদের অন্যতম সফল ও আকর্ষণীয় সফর। এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও সুদৃঢ় হয়েছে। আমরা আশা করছি, এ থেকেই উদ্বুদ্ধ হয়ে অনেক বিদেশি বিনিয়োগকারী বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় দৃশ্যমান অগ্রগতি
দেশের অর্থনৈতিক চিত্র তুলে ধরে শফিকুল আলম বলেন,“ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সময়ে দেশের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ছিল ৩২০ কোটি মার্কিন ডলার। আমাদের অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তা কমিয়ে এনেছে মাত্র ৬০ কোটিতে। বাকি অংশও কয়েক মাসের মধ্যেই পরিশোধ করে ফেলা হবে।”
এই মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় সরকারের সক্ষমতা ও প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ঘটিয়েছেন।