শনিবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৫| রাত ৯:১৫

ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল নিয়ে ভারতের ‘ইঙ্গিতপূর্ণ কথার

প্রতিবেদক
staffreporter
এপ্রিল ১৮, ২০২৫ ৮:১৭ অপরাহ্ণ
ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল নিয়ে ভারতের ‘ইঙ্গিতপূর্ণ কথার

ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল নিয়ে ভারতের ‘ইঙ্গিতপূর্ণ কথার

বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের ঘোষণা দেওয়ার পর ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালের সাম্প্রতিক বক্তব্যে উঠে এসেছে এক ধরনের ‘ইঙ্গিতপূর্ণ’ বার্তা। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) নয়াদিল্লিতে সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি জানান, ভারত বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায় এবং এই অঞ্চলে দু’দেশের সম্পর্ক গঠনমূলক ও ইতিবাচক রাখাই ভারতের লক্ষ্য।
রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক চায়। আমরা সবসময় গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশের পক্ষেই রয়েছি।”
তবে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা হঠাৎ বাতিল করার পেছনে কিছু ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। বলেন, “গত সপ্তাহে আমরা ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা নিয়ে একটি ঘোষণা দিয়েছি। এর কারণ আমাদের বন্দর ও বিমানবন্দরে তৈরি হওয়া জট। তবে এ কথা বলার পাশাপাশি আমি এটাও মনে করিয়ে দিতে চাই, বাংলাদেশ সাইডে এর আগে কী কী হয়েছে, সেটাও একবার খেয়াল করুন।”
এই বক্তব্যে অনেকে ‘কূটনৈতিক সতর্কবার্তা’ বা ‘সৌজন্য ঢাকায় লুকিয়ে থাকা অসন্তুষ্টির ইঙ্গিত’ দেখছেন। যদিও সরাসরি কিছু বলা হয়নি, তবে অতীত কর্মকাণ্ড বা সিদ্ধান্তের পটভূমির দিকে তাকিয়ে দেখার আহ্বান ভারতের তরফ থেকে স্পষ্টভাবেই এসেছে।
এদিকে রণধীর জয়সওয়াল আশ্বস্ত করেছেন, বাংলাদেশের পণ্য নেপাল ও ভুটানে রপ্তানিতে এই সিদ্ধান্তের কোনো প্রভাব পড়বে না। তার ভাষায়, “ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা নিয়ে আমাদের সাম্প্রতিক ঘোষণা নেপাল ও ভুটানে বাংলাদেশের রপ্তানিতে কোনোভাবেই বাধা সৃষ্টি করবে না। আঞ্চলিক বাণিজ্য বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা আমাদের মাথায় আছে। এবং এই দৃষ্টিকোণ থেকেই আমরা বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে ইতিবাচকভাবে এগিয়ে নিতে চাই।”
ভারতের এই অবস্থান তুলে ধরার পাশাপাশি রণধীর বারবারই বাংলাদেশকে ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তবে পেছনের ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেওয়ার মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট হয়েছে, দিল্লি কিছু বিষয়ের প্রতি অসন্তুষ্ট বা সতর্ক।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সাল থেকে ভারত বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা চালু করেছিল, যার মাধ্যমে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারত তার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে পণ্য পরিবহন করত। কিন্তু চলতি বছরের ৮ এপ্রিল হঠাৎ করেই ভারত ঘোষণা দেয়, তারা এই সুবিধা বাতিল করেছে। যুক্তি হিসেবে বলা হয়, ভারতীয় স্থল ও বিমানবন্দরে পণ্য জট তৈরি হয়েছে।
এই সিদ্ধান্তে দক্ষিণ এশিয়ার বাণিজ্য ও কূটনীতিতে নতুন করে উত্তাপ তৈরি হয়েছে বলেই মনে কসূত্র: এএনআইরছেন বিশ্লেষকরা। 

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - বানিজ্য ও অর্থনীতি