শুক্রবার, ৬ই জুন, ২০২৫| রাত ১০:২৭

এশিয়ার তিন দেশ সফর করবেন শি জিনপিং

প্রতিবেদক
staffreporter
এপ্রিল ১২, ২০২৫ ৭:০২ অপরাহ্ণ
এশিয়ার তিন দেশ সফর করবেন শি জিনপিং

এশিয়ার তিন দেশ সফর করবেন শি জিনপিং

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এশিয়ার তিনটি দেশ—ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া এবং কম্বোডিয়া—রাষ্ট্রীয় সফরে যাচ্ছেন। এই সফর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই সফরের বিস্তারিত জানিয়েছে। বিবৃতি অনুযায়ী, শি জিনপিং আগামী ১৪ থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত এই তিন দেশে রাষ্ট্রীয় সফর করবেন। তাঁর এই সফর আমন্ত্রণের ভিত্তিতে হচ্ছে, যা এই দেশগুলোর সঙ্গে চীনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গভীরতার ইঙ্গিত দেয়।

প্রথম গন্তব্য ভিয়েতনাম। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক তো লামের আমন্ত্রণে শি জিনপিং ১৪ থেকে ১৫ এপ্রিল ভিয়েতনামে থাকবেন। এই সফরে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ভিয়েতনাম চীনের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার, এবং এই সফর দুই দেশের সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে।

এরপর শি জিনপিং মালয়েশিয়ার উদ্দেশে রওনা দেবেন। মালয়েশিয়ার রাজা সুলতান ইব্রাহিম সুলতান ইস্কান্দারের আমন্ত্রণে তিনি ১৫ থেকে ১৮ এপ্রিলের মধ্যে এই দেশে সফর করবেন। মালয়েশিয়া চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। এই সফরে অবকাঠামো উন্নয়ন, বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং সাংস্কৃতিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হবে। দুই দেশের মধ্যে বিনিয়োগ এবং বাণিজ্যের সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল হবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

শি জিনপিংয়ের সফরের শেষ গন্তব্য কম্বোডিয়া। কম্বোডিয়ার রাজা নরোদম সিহামোনির আমন্ত্রণে তিনি একই সময়ে, অর্থাৎ ১৫ থেকে ১৮ এপ্রিলের মধ্যে এই দেশে যাবেন। চীন কম্বোডিয়ার অন্যতম বৃহৎ বিনিয়োগকারী এবং উন্নয়ন সহযোগী। এই সফরে অবকাঠামো প্রকল্প, বাণিজ্যিক সহযোগিতা এবং দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব নিয়ে আলোচনা হবে। কম্বোডিয়ার অর্থনীতিতে চীনের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য, এবং এই সফর তা আরও জোরদার করবে।

বাংলাদেশের দৃষ্টিকোণ থেকে, এই সফর গুরুত্বপূর্ণ, কারণ বাংলাদেশও চীনের সঙ্গে গভীর অর্থনৈতিক সম্পর্ক রাখে। শি জিনপিংয়ের এই সফর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক গতিশীলতার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে, যা বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও প্রভাবিত হতে পারে।

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - বানিজ্য ও অর্থনীতি