বুধবার, ১৬ই এপ্রিল, ২০২৫| সকাল ১০:৪২

আর্টেমিস চুক্তি – বাংলাদেশকে স্বাগত জানাল যুক্তরাষ্ট্র, পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি

প্রতিবেদক
staffreporter
এপ্রিল ১১, ২০২৫ ৭:৪০ অপরাহ্ণ
আর্টেমিস চুক্তি - বাংলাদেশকে স্বাগত জানাল যুক্তরাষ্ট্র, পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি

আর্টেমিস চুক্তি – বাংলাদেশকে স্বাগত জানাল যুক্তরাষ্ট্র, পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি

বাংলাদেশ আর্টেমিস চুক্তিতে স্বাক্ষর করায় যুক্তরাষ্ট্র উষ্ণ স্বাগত জানিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই স্বাগত বার্তার পাশাপাশি বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের নিরাপত্তা বিষয়ে কাজ চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি জানিয়েছে। এই ঘোষণা বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।

গত ৮ এপ্রিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত ২০২৫ সালের বিনিয়োগ সম্মেলনে বাংলাদেশ বিশ্বের ৫৪তম দেশ হিসেবে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার আর্টেমিস চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি জ্যাকবসন। এই ঘটনা বাংলাদেশের মহাকাশ গবেষণা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের বিবৃতিতে বলেছে, “বাংলাদেশের এই স্বাক্ষরের মাধ্যমে তারা এমন একটি জোটে যোগ দিয়েছে, যারা মহাকাশে শান্তিপূর্ণ অন্বেষণের স্বপ্ন দেখে। আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে গত ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে একটি টেকসই সম্পর্ক গড়ে তুলেছি। এই সম্পর্ককে আমরা আরও এগিয়ে নিতে চাই, বিশেষ করে অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে।” এই বক্তব্যে দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

আর্টেমিস চুক্তি কী? এটি ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে নাসা এবং সাতটি দেশ মিলে গঠিত একটি অ-বাধ্যতামূলক চুক্তি। এর মূল লক্ষ্য হলো মহ founded on the 1967 Outer Space Treaty, focuses on peaceful and cooperative exploration of space, including the Moon, Mars, and other celestial bodies. It promotes transparency, safety, and sustainability in space activities. বাংলাদেশের যোগদান এই জোটে নতুন গতি যোগ করেছে, যেখানে ইতোমধ্যে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপান, ভারত, যুক্তরাজ্যসহ ৫৪টি দেশ রয়েছে।

বাংলাদেশের জন্য এই চুক্তি কেন গুরুত্বপূর্ণ? এটি বাংলাদেশকে মহাকাশ গবেষণায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতার দুয়ার খুলে দেবে। প্রযুক্তি হস্তান্তর, বৈজ্ঞানিক সহযোগিতা এবং অর্থনৈতিক সুযোগের নতুন সম্ভাবনা তৈরি হবে। বাংলাদেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পারসো (SPARRSO) এর সঙ্গে নাসার সহযোগিতা বাড়বে, যা দেশের মহাকাশ মিশনকে ত্বরান্বিত করবে। এছাড়া, এই চুক্তি বাংলাদেশকে বিশ্ব মঞ্চে একটি দায়িত্বশীল ও শান্তিপ্রিয় দেশ হিসেবে তুলে ধরবে।

যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “আমরা বাংলাদেশের প্রতিভা ও দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে মানবজাতির মহাকাশ অন্বেষণে নতুন অধ্যায় যোগ করতে চাই।” এই বার্তা বাংলাদেশের সম্ভাবনার প্রতি তাদের আস্থার প্রকাশ।

এই চুক্তি শুধু মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রেই নয়, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতাকেও শক্তিশালী করবে। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে দুই দেশের যৌথ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এই স্বাক্ষরের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মহাকাশে শান্তিপূর্ণ অন্বেষণের পথে এগিয়ে গেল। এটি বাংলাদেশের জন্য গর্বের মুহূর্ত।

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - বানিজ্য ও অর্থনীতি