সোমবার, ৩রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫| রাত ১:০৪

‘এক বিজয় করেছো, আরেক বিজয় আসবে’, শিক্ষার্থীদের প্রধান উপদেষ্টা।

প্রতিবেদক
staffreporter
ডিসেম্বর ৪, ২০২৪ ৪:২১ অপরাহ্ণ

‘এক বিজয় করেছো, আরেক বিজয় আসবে’, শিক্ষার্থীদের প্রধান উপদেষ্টা।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি শিক্ষার্থীদের বলেছেন, “তোমরা অসম্ভবকে সম্ভব করেছ, এক বিজয় অর্জন করেছো, আরেক বিজয় আসবে।”

শিক্ষার্থীদের রাষ্ট্রের অভিভাবক আখ্যা দিয়ে তিনি আরও বলেন, “তোমাদের কারণেই রাষ্ট্র। এই ভূমিকা ভুলে যেও না। নিজেদের দায়িত্ব স্মরণে রেখো। অনেকে এখানে আছেন, অনেকে নেই। যারা নেই, তারাও রাষ্ট্রের অভিভাবক। তোমাদের দায়িত্ব রাষ্ট্রকে সঠিক পথে রাখা, যেন বিচ্যুতি না ঘটে। এই দায়িত্ব স্মরণে রাখলেই রাষ্ট্র সঠিক পথে চলবে। নিজের অভিভাবকত্ব ভুলে যেও না।”

মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় শিক্ষার্থীরা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, নিহতদের রাষ্ট্রীয় খেতাব প্রদান, আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা এবং জুলাই গণহত্যায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান। তারা সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

প্রধান উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আগেও কিছু শিক্ষার্থীর সঙ্গে দেখা হয়েছে, আজ অনেকের সঙ্গে দেখা হলো। মূলত তোমাদের কথা শুনতেই আজকের আয়োজন। তোমরা সরকারের কাছে কী চাও, কী পরামর্শ আছে, তা জানতেই বসা।”

দ্রব্যমূল্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। সিন্ডিকেটের কবলে বাজারমূল্য থাকতে পারে না। রমজানেও দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে সর্বোচ্চ উদ্যোগ নেওয়া হবে।”

স্থানীয় সরকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “স্থানীয় সরকার শক্তিশালী করার জন্য কমিশন আছে। তারা পরামর্শ দেবে, আমরা কাজ করব। ক্ষমতা স্থানীয় সরকারের হাতে দিতে চাই। তবে সঠিক ব্যবস্থা নিয়ে দুর্নীতি রোধ করতে হবে।”

জুলাইয়ের শহিদদের রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা এ বিষয়ে কাজ করছি। শহিদদের অবদান ভুলব না এবং তাদের যথাযথ মর্যাদা দেওয়া হবে।”

শিক্ষাক্ষেত্রে সংস্কার নিয়ে তিনি বলেন, “শিক্ষাব্যবস্থাকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। দক্ষতার অভাব এবং বেকারত্ব তৈরি করা হয়েছে। আমাদের তরুণদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে।”

নারী শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমার সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থী ছিল চারজন। এখন সংখ্যাটি ৫২ শতাংশ। এটি আনন্দের বিষয়। শিক্ষার পরিবেশ রক্ষায় উদ্যোগ নেওয়া হবে।”

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - সর্বশেষ