বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস আজ: ‘সাহসী ও দায়িত্বশীল আগামীর প্রজন্ম’ গড়ার প্রত্যয়ে উদযাপন
আজ মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) পালিত হচ্ছে বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য—‘সাহসী ও দায়িত্বশীল আগামীর প্রজন্ম’। দিনটিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে সারা দেশের প্রতিটি শাখাকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ স্কাউটস সদর দপ্তর।
বিশ্বব্যাপী স্কাউটিং একটি বিশাল সামাজিক আন্দোলন হিসেবে বিবেচিত। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ১৬১টি দেশে তিন কোটিরও বেশি সদস্য স্কাউট আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। এই আন্দোলন কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে নেতৃত্ব, শৃঙ্খলা, মানবতা ও দেশপ্রেম জাগিয়ে তুলতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
স্বাধীন বাংলাদেশে স্কাউটিংয়ের যাত্রা শুরু হয় ১৯৭২ সালের ৮ এপ্রিল। ওই দিন গঠিত হয় বয় স্কাউট সমিতি। এর দুই বছর পর, ১৯৭৪ সালে, এটি বিশ্ব স্কাউট সংস্থার ১০৫তম সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। পরবর্তীতে, ১৯৭৮ সালে, এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘বাংলাদেশ স্কাউটস’। ১৯৯৪ সালে নারী অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চালু করা হয় ‘গার্ল-ইন-স্কাউটিং’ কার্যক্রম।
বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম স্কাউট সংগঠন হিসেবে পরিচিত। বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের গোড়াপত্তন হয় অনেক আগেই—১৯০৭ সালে। ব্রিটিশ সেনা কর্মকর্তা রবার্ট স্টিভেনসন স্মিথ লর্ড ব্যাডেন পাওয়েল অব গিলওয়েল প্রথম এই যুব আন্দোলন শুরু করেন। ওই বছর ইংল্যান্ডের ব্রাউন-সি দ্বীপে ২৯ আগস্ট থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি একটি পরীক্ষামূলক ক্যাম্প আয়োজন করেন, যা বিশ্ব স্কাউটিং আন্দোলনের সূচনা হিসেবে ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছে।
বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস উদযাপনের মাধ্যমে দেশের শিশু-কিশোরদের মাঝে দেশপ্রেম, দায়িত্ববোধ ও নেতৃত্বের গুণাবলি বিকাশের লক্ষ্যে সচেতনতা বাড়ানোর একটি সুযোগ সৃষ্টি হয়।