গুজরাট টাইটান্সের কাছে হেরে বেঙ্গালুরুর প্রথম হার, সিরাজের দাপটে চিন্নাস্বামীতে নীরবতা
এবারের আইপিএলে ব্যাট ও বলে দারুণ ভারসাম্য নিয়ে মাঠে নেমেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন এই দলটি প্রথম শিরোপার স্বপ্ন নিয়ে শুরুতে দুটি বড় জয় তুলে নিয়েছিল। কলকাতা নাইট রাইডার্স ও চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে দাপুটে জয়ের পর পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছিল তারা। কিন্তু গতকাল চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে গুজরাট টাইটান্সের কাছে হেরে তাদের এই ছন্দে ছেদ পড়েছে। এই ম্যাচে বড় ভূমিকা রেখেছেন বেঙ্গালুরুর প্রাক্তন তারকা মোহাম্মদ সিরাজ, যিনি তার পুরনো দলের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত বোলিং করে ম্যাচের নায়ক হয়েছেন।
ম্যাচে সিরাজ তার বোলিং দিয়ে বেঙ্গালুরুকে শুরুতেই চাপে ফেলে দেন। ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে ৩টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন তিনি। প্রথমে দেবদূত পাদিক্কালকে আউট করে শুরু, তারপর ফিল সল্টকে ক্লিন বোল্ড করে সমর্থকদের নীরব করে দেন। শেষে লিয়াম লিভিংস্টোনের বিপজ্জনক ইনিংসে ইতি টেনে বেঙ্গালুরুর স্কোরকে ১৬৯/৮-এ আটকে দিতে বড় অবদান রাখেন। লিভিংস্টোনের ফিফটি (৫৪) এবং টিম ডেভিড ও জিতেশ শর্মার ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস সত্ত্বেও বেঙ্গালুরু বড় রানের পথ খুঁজে পায়নি।
- প্রতিষ্ঠানের নাম: রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু
- ম্যাচের তারিখ: ২ এপ্রিল ২০২৫
- প্রতিপক্ষ: গুজরাট টাইটান্স
- ম্যাচের স্থান: এম. চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম, বেঙ্গালুরু
- ফলাফল: গুজরাট টাইটান্স ৮ উইকেটে জয়ী
- বেঙ্গালুরুর স্কোর: ১৬৯/৮ (২০ ওভার)
- গুজরাটের স্কোর: ১৭০/২ (১৭.৫ ওভার)
- সেরা বোলার: মোহাম্মদ সিরাজ (৩/১৯)
- সেরা ব্যাটার: জস বাটলার (৭৩*, ৩৯ বল)
- উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স: সাই সুদর্শন (৪৯), শেরফান রাদারফোর্ড (৩০*)
- ম্যাচের ধরন: আইপিএল ২০২৫, ম্যাচ নম্বর ১৪
- টস: গুজরাট টাইটান্স (বোলিং নির্বাচন)
- পয়েন্ট টেবিলে অবস্থান: বেঙ্গালুরু ৩ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট (৩য়), গুজরাট ৩ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট (৪র্থ)
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে গুজরাটের অধিনায়ক শুভমান গিল ১৪ রানে আউট হলেও, জস বাটলার ও সাই সুদর্শন দলকে জয়ের পথে রাখেন। বাটলার ৩৯ বলে ৭৩* (৫ চার, ৬ ছক্কা) এবং সুদর্শন ৪৯ রান করে ফিরলেও শেরফান রাদারফোর্ডের ১৮ বলে ৩০* দলকে ১৩ বল বাকি থাকতেই জয় এনে দেয়। সিরাজের এই পারফরম্যান্স তাকে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার এনে দেয়, এবং ম্যাচ শেষে তিনি আবেগপ্রবণ হয়ে বলেন, “বেঙ্গালুরুতে ৭ বছর খেলেছি, এখানে ফিরে খেলতে গিয়ে একটু কষ্ট হয়েছিল। কিন্তু বল হাতে নেওয়ার পর সব ঠিক হয়ে যায়।”